হৃদরোগ-ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব রান্নার তেল, কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ – অবিলম্বে এই তেলে রান্না করা বন্ধ করুন

হৃদরোগ-ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় যেসব রান্নার তেল, কার্ডিওলজিস্টের পরামর্শ – অবিলম্বে এই তেলে রান্না করা বন্ধ করুন

সকাল থেকে সন্ধ্যার সালাদ ড্রেসিং পর্যন্ত, খাবার রান্নার জন্য তেল প্রতিটি বাড়িতেই ব্যবহৃত হয়। তেল শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু সঠিক পরিমাণ এবং সঠিক প্রকার গুরুত্বপূর্ণ। তেল কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং আপনার স্বাস্থ্য, বিশেষ করে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।

কার্ডিওলজিস্ট এবং ফাংশনাল মেডিসিন এক্সপার্ট ড. অলোক চোপড়া সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জানিয়েছেন যে, প্রতিদিন ব্যবহৃত কিছু তেল হৃদযন্ত্রের ক্ষতি করতে পারে, যদিও সেগুলোকে হৃদয়ের জন্য স্বাস্থ্যকর বলা হয়।

আপনার রান্নার তেল কি হৃদয়ের জন্য বিপদজনক?
ড. চোপড়া জানান যে, সূর্যমুখী, সয়া, ক্যানোলা এবং ভুট্টা তেলের মতো বীজ থেকে তৈরি তেল আসলে প্রাকৃতিক খাদ্যদ্রব্য নয়। এই তেলগুলি উচ্চ তাপ, রাসায়নিক এবং ভারী চাপ দিয়ে কারখানায় তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় তেল অক্সিডাইজড হয়ে যায়, যার ফলে এর গঠন খারাপ হয়ে যায় এবং এটি আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

অক্সিডাইজড তেল থেকে কীভাবে ক্ষতি হয়?
ড. চোপড়ার মতে, অক্সিডাইজড তেল ফ্রি রেডিক্যাল তৈরি করে, যা শরীরে প্রদাহ বাড়ায় এবং হৃদরোগ, স্থূলতা, ক্যান্সারের মতো গুরুতর সমস্যার সাথে যুক্ত। এই তেলগুলিতে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষ করে লিনোলিক অ্যাসিড, অত্যধিক পরিমাণে থাকে। এর আধিক্য শরীরে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ এর ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যার ফলে প্রদাহ, খারাপ কোলেস্টেরল এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

তেল ডিএনএ-তেও পরিবর্তন আনতে পারে
ড. চোপড়া জানান যে, রেস্তোরাঁয় তেল পুনরায় এবং বারবার ব্যবহার করা হয়, যা এটিকে বিষাক্ত করে তোলে। এমন পরিস্থিতিতে যখন একই তেলকে বারবার গরম করা হয়, তখন তাতে বিষাক্ত অ্যালডিহাইড এবং রাসায়নিক তৈরি হয় যা ডিএনএ-কেও প্রভাবিত করতে পারে এবং শরীরে প্রদাহ বাড়াতে পারে।

নিরাপদ বিকল্প কী?
ড. চোপড়া পরামর্শ দিয়েছেন যে, কোল্ড-প্রেসড বা কম প্রক্রিয়াজাত তেল যেমন নারকেল তেল, সরিষার তেল, ঘি বা অলিভ তেল ব্যবহার করুন। এছাড়াও, আপনার খাদ্যে ওমেগা-৬ এবং ওমেগা-৩ এর সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখুন, যাতে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষিত রাখা যায়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *