শুধু উপকারই নয়, অ্যালোভেরা মুখের ক্ষতিও করতে পারে, ভুলেও এই ভুলগুলো করবেন না

অ্যালোভেরাকে সাধারণত ত্বকের যত্নে অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এর জেলে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং হাইড্রেটিং গুণ থাকে, যা মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানো থেকে শুরু করে ব্রণ, বলিরেখা এবং দাগ-ছোপ দূর করতে এর উপযোগিতা উল্লেখ করা হয়।
আপনি কি জানেন যে অ্যালোভেরার ভুল ব্যবহার মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর পরিবর্তে ক্ষতিও করতে পারে?
অ্যালোভেরা থেকে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো হতে পারে
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, সব ধরনের ত্বকে অ্যালোভেরা একই রকম প্রভাব ফেলে না। কিছু মানুষের এর থেকে অ্যালার্জি, জ্বালা, ফুসকুড়ি বা দাগ-ছোপের মতো সমস্যা হতে পারে।
এই সমস্যাগুলো আপনাকে বিরক্ত করতে পারে:
ত্বকে চুলকানি বা জ্বালা
মুখে লাল দাগ বা র্যাশ
ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক ও প্রাণহীন হওয়া
রোদে মুখ আরও কালো হয়ে যাওয়া
এই ভুলগুলো একেবারেই করবেন না
প্যাক লাগিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাখা: অ্যালোভেরা জেল বেশি সময় ধরে মুখে রাখলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।
প্যাচ টেস্ট ছাড়া ব্যবহার: যেকোনো নতুন পণ্যের মতো অ্যালোভেরার ক্ষেত্রেও প্যাচ টেস্ট জরুরি। কারণ সবার ত্বক আলাদা হয়, তাই প্রথমে অ্যালোভেরা হাতে বা কানের পেছনে লাগিয়ে পরীক্ষা করে নিন।
সারারাত রেখে দেওয়া: অনেকে অ্যালোভেরা জেল সারা রাত মুখে লাগিয়ে রাখেন, যা ত্বককে শুষ্ক ও নিস্তেজ করে তুলতে পারে।
রোদে লাগিয়ে বাইরে বেরোনো: অ্যালোভেরা লাগানোর পর তীব্র রোদে গেলে ত্বকে জ্বালা এবং পিগমেন্টেশন হতে পারে।
প্রতিদিন ব্যবহার করা: কিছু ত্বকের ক্ষেত্রে প্রতিদিন অ্যালোভেরা জেল শুষ্ক এবং রুক্ষ করে তুলতে পারে।
রাসায়নিকযুক্ত জেল ব্যবহার: সস্তা বা ভেজালযুক্ত অ্যালোভেরা জেল ত্বকের উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে।
অ্যালোভেরা ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
পরিষ্কার মুখ ও হাতে লাগান।
৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ২-৩ বারই ব্যবহার করুন।
রোদে যাওয়ার আগে লাগাবেন না।
বাজার থেকে কেনার সময় শুধুমাত্র বিশুদ্ধ এবং অর্গানিক অ্যালোভেরা জেল বেছে নিন।
ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ
ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক জিনিসও ততক্ষণই উপকারী যতক্ষণ না তাদের সঠিক পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হয়। অ্যালোভেরা ব্যবহার করার সময়ও ভেবেচিন্তে ব্যবহার করা জরুরি, অন্যথায় এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির কারণ হতে পারে।