আপনার বাড়ির তুলসি গাছে পাওয়া গেছে এই বিশেষ জিনিস, জানলে অবাক হবেন!

ভারতীয় বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি তুলসি গাছে একটি বিশেষ জিনের সন্ধান পেয়েছেন। এই জিনটি অ্যাপিপেগেট্রিন (Apigeterin) নামক একটি ঔষধি যৌগকে বাড়িয়ে তোলে। এই ঔষধি যৌগ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। অ্যাপিপেগেট্রিন শরীরে প্রদাহ কমাতে, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে এবং শরীরকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করার গুণের জন্য পরিচিত।
তুলসির বিশেষ যৌগ এবং এর উপকারিতা
তুলসি গাছে পাওয়া এই বিশেষ যৌগটি অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করা হয়। এই যৌগটি শরীরে প্রদাহ কমানোর পাশাপাশি আর্থরাইটিস (arthritis), হৃদরোগ (heart disease) এবং কিছু ধরণের ক্যান্সারের (cancer) মতো রোগে সহায়ক হতে পারে।
এছাড়াও, এই নতুন যৌগের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ শরীরকে ফ্রি র্যাডিকেল (free radicals) থেকে রক্ষা করে, যা বার্ধক্য এবং অনেক রোগের কারণ হয়। তুলসি ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই আয়ুর্বেদে সবচেয়ে উপকারী এবং গুণসম্পন্ন বলে বিবেচিত।
তুলসি মূলত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হজমশক্তি উন্নত করতে এবং সর্দি-কাশি ও ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এখন তুলসি নিয়ে নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার তুলসির গুণাবলী এবং উপকারিতাকে আয়ুর্বেদের পাশাপাশি বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও দিয়েছে।
নতুন আবিষ্কারের প্রভাব ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগ
ধারণা করা হচ্ছে, এই নতুন যৌগ আবিষ্কারের পর ফার্মাসিউটিক্যাল কো ম্পা নিগুলো এখন তুলসি ব্যবহার করে প্রাকৃতিক ওষুধ তৈরি করতে পারবে। তুলসিতে পাওয়া জিনের সাহায্যে বিজ্ঞানীরা এখন আরও বেশি পরিমাণে অ্যাপিপেগেট্রিন তৈরি করতে পারবেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organization) ভারতের সাথে মিলে আয়ুর্বেদকে বৈজ্ঞানিক স্বীকৃতি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে। তুলসি নিয়ে এই গবেষণা সেই দিকেই প্রথম পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। তুলসি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে এবং রক্তচাপের ভারসাম্য বজায় রাখে।