মদ ছাড়ুন, এই ৫টি জিনিস লিভারের বারোটা বাজিয়ে দেয়

যখন লিভার (Liver) খারাপ হওয়ার কথা আসে, তখন সবার আগে মদের দিকেই নজর যায়। কিন্তু, মদ ছাড়াও এমন কিছু পানীয় আছে যা ধীরে ধীরে আপনার লিভারকে পুরোপুরি নষ্ট করে দিচ্ছে।
এই পানীয়গুলি প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ পান করেন, এটা না জেনেই যে এদের প্রভাব কতটা মারাত্মক হতে পারে। তাহলে আসুন, আমরা আপনাকে বলি যে মদ ছাড়াও আর কোন পানীয় লিভারের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।
সুগারযুক্ত এনার্জি ড্রিঙ্ক
বাজারে বিক্রি হওয়া অনেক এনার্জি ড্রিঙ্কে (Energy Drinks) ক্যাফেইন (Caffeine) এবং চিনির পরিমাণ (Sugar Content) খুব বেশি থাকে। এই ড্রিঙ্কস বেশি পরিমাণে পান করলে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে, যার ফলে নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজের (Non-alcoholic Fatty Liver Disease – NAFLD) ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষণায় এও দেখা গেছে যে, এই ড্রিঙ্কসে উপস্থিত কিছু কৃত্রিম রাসায়নিক (Artificial Chemicals) লিভারের কোষের (Liver Cells) ক্ষতি করতে পারে।
সোডা এবং কোল্ড ড্রিঙ্ক
সোডা (Soda) এবং কোল্ড ড্রিঙ্ককে (Cold Drinks) ‘মিষ্টি বিষ’ বলা ভুল হবে না। এগুলোতে থাকা হাই ফ্রুক্টোজ কর্ন সিরাপ (High Fructose Corn Syrup) শুধু রক্তে শর্করার মাত্রা (Blood Sugar Level) বাড়ায় না, বরং লিভারে চর্বি জমার কাজও করে। দীর্ঘ সময় ধরে এগুলো পান করলে লিভারে প্রদাহ (Inflammation) এবং ফাইব্রোসিসের (Fibrosis) মতো সমস্যা হতে পারে।
প্যাকেজড ফ্রুট জুস
যদিও এই জুসগুলি ‘ফ্রুট’ (Fruit) নামে বিক্রি হয়, কিন্তু এগুলোতে প্রাকৃতিক পুষ্টি উপাদানের (Natural Nutrients) তুলনায় বেশি চিনি এবং প্রিজারভেটিভ (Preservatives) থাকে। এগুলি লিভারের জন্য অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত পানীয়ের (Processed Drinks) মতোই বিপজ্জনক হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বাড়িতে তৈরি তাজা জুসকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পরামর্শ দেন।
মিল্কশেক
বাজারে পাওয়া প্যাকেজড মিল্কশেকে (Milkshake) প্রচুর পরিমাণে চিনি, ফ্লেভারিং এজেন্ট (Flavoring Agents) এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট (Saturated Fat) থাকে, যা লিভারের উপর অতিরিক্ত চাপ ফেলে। এর প্রচলন বিশেষ করে শিশু এবং কিশোরদের মধ্যে বাড়ছে, যা ভবিষ্যতে লিভারের রোগের কারণ হতে পারে।