খেজুরে লুকিয়ে বিপদ! খাওয়ার আগে কেন পরীক্ষা জরুরি?

খেজুরের মিষ্টি স্বাদ ও পুষ্টিগুণ অনেকের প্রিয়, কিন্তু এর মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে ছত্রাকের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি, যা অলক্ষিত থাকলে বিপদ ডেকে আনতে পারে। ডাঃ কুনাল সুদ, একজন চিকিৎসক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাস্থ্যবিষয়ক পরামর্শদাতা, সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে এক ভিডিওতে সতর্ক করে বলেছেন, “খেজুর খাওয়ার আগে অবশ্যই পরীক্ষা করে নিন।” তিনি জানান, খেজুরের উচ্চ চিনি ও আর্দ্রতা এটিকে ছত্রাকের জন্য আদর্শ করে তোলে। খাওয়ার আগে খেজুর কেটে পরীক্ষা করলে ছত্রাকের দূষণ ধরা পড়ে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সহায়ক। খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি৬, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফাইবার, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহ কমায়। তবে, সতর্কতা ছাড়া খেলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে।
খেজুরের পুষ্টিগুণের পাশাপাশি এর হাড়ের স্বাস্থ্যের উপকারিতাও উল্লেখযোগ্য। ২০২১ সালে এইচটি লাইফস্টাইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুষ্টিবিজ্ঞানী জানান, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খেজুর হাড় ও দাঁত শক্তিশালী করে এবং পটাসিয়াম, ফসফরাস ও ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ অস্টিওপোরোসিস ও আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধে সহায়ক। শীতকালে ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের ক্ষয় রোধে খেজুর গুরুত্বপূর্ণ। তবে, ডাঃ সুদের পরামর্শ, খেজুর খাওয়ার আগে সবসময় এর গুণমান যাচাই করা জরুরি। ছত্রাক দূষণ এড়াতে সঠিক সংরক্ষণ ও পরীক্ষা অপরিহার্য। এই সতর্কতা মেনে চললে খেজুরের পুষ্টিগুণ উপভোগ করা যাবে নিরাপদে, যা স্বাস্থ্যের জন্য একটি আদর্শ খাবার হতে পারে।