স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে, ভালো অভিভাবকত্বের জন্য এই টিপসগুলো অনুসরণ করুন

স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য খারাপ হচ্ছে, ভালো অভিভাবকত্বের জন্য এই টিপসগুলো অনুসরণ করুন

স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোটখাটো ঝগড়াঝাঁটি সাধারণ ব্যাপার। কথা কাটাকাটি এবং উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়কে স্বামী-স্ত্রীর প্রেমের অংশ হিসাবেও দেখা হয়। কিন্তু অনেক সময় এই সামান্য তিক্ততা বড় ঝগড়ার রূপ নেয়। সম্পর্কের মধ্যে এমন তিক্ততা আসে যে একে অপরের দিকে তাকালেই মেজাজ গরম হয়ে যায়।

দম্পতিদের মধ্যে সম্পর্কের এই পরিবর্তনের প্রভাব শিশুদের উপরেও দেখা যায়। বাবা-মাকে ঝগড়া করতে দেখে শিশুরা চুপচাপ থাকতে শুরু করে। তারা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার শিকার হয়। এমন পরিস্থিতিতে শিশুদের কিভাবে যত্ন নেওয়া উচিত? আসুন এ বিষয়ে জেনে নিই…

শব্দের প্রতি মনোযোগ দিন
প্রায়শই ঝগড়ার সময় আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। রাগের বশে এমন শব্দ মুখ থেকে বেরিয়ে আসে, যার জন্য পরে আমাদের অনুশোচনা হয়। স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার সময় রাগ আরও সপ্তমে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত যে, মুখ থেকে বেরিয়ে আসা শব্দগুলো অন্যদের (বাড়িতে থাকা শিশুদের) কানেও পৌঁছাচ্ছে। এই শব্দগুলো শিশুদের মানসিক অবস্থাকে বিপর্যস্ত করার পাশাপাশি তাদের আবেগিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি করে। তাই কথা বলার ধরণে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

শিশুদের সামনে ঝগড়া করবেন না
বাবা-মায়েদের শিশুদের সামনে ঝগড়া করা থেকে বিরত থাকা উচিত। যদি কোনো শিশু তার বাবা-মাকে ঝগড়া করতে দেখে, তাহলে সে মানসিক চাপে পড়তে পারে। এছাড়াও, সে খিটখিটে এবং বদমেজাজী প্রকৃতির হতে পারে। বাবা-মাকে দেখে তার মধ্যেও তর্ক করার অভ্যাস গড়ে উঠতে পারে। তাই, যদি স্বামী-স্ত্রীকে কোনো বিষয়ে আলোচনা করতে হয়, তাহলে শিশুদের সামনে করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

পরিবারের সাথে বাইরে ঘুরতে যান
যদি স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলছে এবং শিশুরা এই পুরো ঘটনা দেখছে, তাহলে শিশুদের মনকে অন্যদিকে ঘোরানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এর জন্য কোনো ট্রিপের পরিকল্পনা করতে পারেন। সিনেমা দেখতে বা কোনো পিকনিক স্পটে যেতে পারেন। এমনটা করলে শিশুরা বাবা-মায়ের কাছাকাছি আসবে। তাদের বাবা-মায়ের ঝগড়া থেকে মনোযোগ সরে যাবে। শিশুদের শখ ইত্যাদি সম্পর্কেও সহজে জানা যাবে।

বড়দের ঝগড়ায় শিশুদের জড়িত করবেন না
যদি বাবা-মায়ের মধ্যে কোনো বিষয়ে উত্তেজনা থাকে, তাহলে শিশুদের জড়িত করবেন না। এমনটা করবেন না যে মা-বাবা শিশুদের একে অপরের বিরুদ্ধে উসকে দিচ্ছেন। এতে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হবে। কারণ একটি শিশুর জন্য মা-বাবা দুজনেই জরুরি। শিশুর এত বোঝ থাকে না যে সে কোনো বিষয় বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এমনটা করলে শিশুর বাবা-মায়ের প্রতি বিশ্বাস উঠে যেতে শুরু করে। সে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে শুরু করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *