নারীদের জীবনে অনেক শারীরিক ও হরমোনের পরিবর্তন আসে, যার মধ্যে একটি বড় পরিবর্তন হলো মেনোপজ (Menopause), অর্থাৎ মাসিক ঋতুস্রাব (পিরিয়ড) স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি কোনো রোগ নয়, বরং জীবনের একটি স্বাভাবিক পর্যায়, যেখানে নারীর প্রজনন ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়।

মেনোপজ কী?
মেনোপজ হলো সেই অবস্থা যখন কোনো নারীর টানা ১২ মাস পিরিয়ড হয় না এবং এর পেছনে অন্য কোনো চিকিৎসার কারণ থাকে না। এটি এই ইঙ্গিত দেয় যে ডিম্বাশয় (ovaries) ইস্ট্রোজেন (estrogen) এবং প্রোজেস্টেরন (progesterone) এর মতো হরমোন উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে, যার ফলে মাসিক ঋতুচক্র স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

কখন হয় মেনোপজ?
বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীদের সাধারণত ৪৫ থেকে ৫৫ বছর বয়সের মধ্যে মেনোপজ হয়। ভারতে গড়পড়তা নারীদের মেনোপজের বয়স প্রায় ৪৬ থেকে ৪৮ বছর দেখা গেছে, যদিও এই বয়স ব্যক্তিবিশেষের জীবনযাপন, স্বাস্থ্য এবং বংশগতির উপর নির্ভর করে।

সময় আগে মেনোপজ
কিছু নারীর ৪০ বছর বয়সের আগেই মেনোপজ হতে পারে, যাকে প্রিম্যাচিউর মেনোপজ (premature menopause) বা আর্লি মেনোপজ (early menopause) বলা হয়। এর কারণগুলোর মধ্যে বংশগত প্রবণতা, অটোইমিউন রোগ (autoimmune disease), কেমোথেরাপি (chemotherapy), রেডিয়েশন (radiation), অথবা ডিম্বাশয় অপসারণের সার্জারি অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

মেনোপজের লক্ষণ
মেনোপজের আগে এবং এর সময় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন: মাসিক ঋতুস্রাবের অনিয়মিত হওয়া, হট ফ্ল্যাশ (Hot flashes), রাতে ঘাম হওয়া, মেজাজের পরিবর্তন, ঘুমের সমস্যা, ত্বক ও চুলের পরিবর্তন, যৌন ইচ্ছা কমে যাওয়া ইত্যাদি