দেবশয়নী একাদশী ২০২৫, এই ৫টি জিনিস দান করলে পাবেন শুভ ফল!

দেবশয়নী একাদশী, যা ‘হরিশয়নী একাদশী’ নামেও পরিচিত, আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয়। এই দিন থেকে ভগবান শ্রীহরি বিষ্ণু যোগনিদ্রায় চলে যান এবং চার মাস ধরে ক্ষীরসাগরে বিশ্রাম করেন। এটিকে চাতুর্মাসের শুরুও বলা হয়। এই পবিত্র তিথিতে ব্রত, উপবাস, জপ এবং দানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ধর্মশাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে পুণ্যময় বস্তু দান করলে ব্যক্তি অনেক জন্মের পাপ থেকে মুক্তি পায় এবং মোক্ষ প্রাপ্তির পথ প্রশস্ত হয়। আসুন জেনে নিই দেবশয়নী একাদশীর দিনে কোন জিনিসগুলি দান করা সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে মনে করা হয়:
১. শঙ্খ এবং তামার পাত্র দান
দেবশয়নী একাদশীর দিনে শঙ্খ এবং তামার পাত্র দান করলে ভগবান বিষ্ণু অত্যন্ত প্রসন্ন হন। শঙ্খ শ্রীহরির প্রিয় এবং তামা পবিত্রতার প্রতীক। এই দান করলে আরোগ্য, দীর্ঘায়ু এবং সুখ-সমৃদ্ধি লাভ হয়।
২. হলুদ বস্ত্র এবং চন্দন
ভগবান বিষ্ণুর হলুদ রং অত্যন্ত প্রিয়। এই দিনে হলুদ বস্ত্র, চন্দন এবং জাফরান দান করলে জীবনে শুভতা এবং সৌভাগ্য আসে। এই দান আত্মিক শান্তি, মানসিক শক্তি এবং সৎসঙ্গ প্রাপ্তিতে সহায়ক হয়। এটিকে বিষ্ণু ভক্তির প্রতীকও মনে করা হয়।
৩. অন্ন, জল এবং ফল
দেবশয়নী একাদশীতে অন্ন, জল এবং তাজা ফল দান করা অত্যন্ত পুণ্যজনক। এই দান বিশেষ করে ব্রাহ্মণ, দরিদ্র এবং ক্ষুধার্ত মানুষকে করা উচিত। এতে অন্নদাতা জীবনে কখনও অন্নের অভাব অনুভব করেন না এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করেন।
৪. পাখা, মাদুর এবং ছাতা
গরমকালে প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন পাখা, মাদুর, ছাতা ইত্যাদি দান করলে ইহকাল এবং পরকাল উভয়ই উন্নত হয়। এই দান তপস্যা, সেবা এবং পরোপকারের প্রতীক বলে মনে করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যক্তির জীবনে উষ্ণতা এবং দুঃখের উপশম হয়।
৫. ভাগবত গীতা বা ধর্মীয় গ্রন্থ দান
এই পবিত্র দিনে ধর্মীয় বই দান করলে বিশেষ পুণ্য লাভ হয়। ভাগবত গীতা, বিষ্ণু সহস্রনাম বা রামায়ণ দান করলে ব্যক্তি জ্ঞান, বিবেক এবং আধ্যাত্মিক উন্নতির বরদান প্রাপ্ত হন। এই দান সৎকর্মের দিকে অনুপ্রাণিত করে।
দেবশয়নী একাদশী একটি আশ্চর্য এবং পুণ্যময় তিথি। এই দিনে ব্রত পালনের পাশাপাশি যদি শ্রদ্ধা এবং নিয়ম মেনে এই জিনিসগুলি দান করা হয়, তবে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় জীবনে সুখ, শান্তি এবং মোক্ষ লাভ সম্ভব হয়।