গ্রীষ্মে হৃদরোগীদের সকাল-সন্ধ্যায় হাঁটার পরামর্শ

কলকাতা: তীব্র গ্রীষ্মের তাপে শুধু ত্বকই নয়, হৃদয়ও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। হৃদরোগীদের জন্য এই সময় বিশেষ সতর্কতা জরুরি। হাঁটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু গ্রীষ্মের প্রচণ্ড গরমে কখন হাঁটবেন, তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকে। কার্ডিওলজিস্ট ডা. সঞ্জয় মিত্র বলেন, “হৃদরোগীদের সকালে তাড়াতাড়ি বা সন্ধ্যায় তাপমাত্রা কমলে হাঁটা উচিত।” তিনি সতর্ক করে বলেন, ডিহাইড্রেশন হৃদরোগীদের জন্য মারাত্মক হতে পারে। পর্যটন সংকটের মধ্যেও স্বাস্থ্য রক্ষা এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ।
গ্রীষ্মে সকাল ৯টার পর তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে, যা হৃদরোগীদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, সকাল ৬ থেকে ৮টা বা সন্ধ্যা ৬টার পর হাঁটা নিরাপদ। হাঁটার সময় জল বা হাইড্রেশন পানীয় সঙ্গে রাখা জরুরি। ডা. মিত্র বলেন, “যাদের হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস আছে, তাদের দুপুরের তীব্র গরমে বাইরে না যাওয়াই ভালো।” অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে হালকা ব্যায়াম করা উচিত। গ্রীষ্মে ডিহাইড্রেশনের কারণে রক্তচাপ বেড়ে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।
যদি হৃদরোগীরা ভুল সময়ে হাঁটেন, তবে শরীরে জলর ঘাটতি ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এটি হৃদয়ের উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। বিশেষ করে, যাদের হৃদরোগের ইতিহাস আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে হাঁটার সময় নির্ধারণ করা উচিত। পর্যটন সংকটের এই সময়ে, যখন অনেকে বাড়িতেই থাকছেন, হৃদরোগীদের জন্য সঠিক সময়ে হাঁটা স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট সতর্কতা বড় বিপদ এড়াতে পারে।