ইউনূস সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিন দিনের বিক্ষোভ, ঢাকায় হাজারো মানুষের সমাবেশ

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার রাজপথ আগামী তিন দিন প্রতিবাদের উত্তাপে উত্তপ্ত থাকবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে একনায়কতন্ত্রের অভিযোগে হাজার হাজার মানুষ বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভে নামছে। নোবেল বিজয়ী ইউনূস গত বছর শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ক্ষমতা গ্রহণ করেন, যখন হাসিনা জনরোষের মুখে ভারতে পালিয়ে যান। তিনি ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিলেও, নির্দিষ্ট সময়সূচি না থাকায় জনমনে ক্ষোভ বাড়ছে।
বৃহস্পতিবার শ্রমিক দিবসে প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি) একটি বিশাল র্যালির আয়োজন করেছে। বিএনপির মিডিয়া কর্মকর্তা শাইরুল কবির খান বলেন, “এই র্যালি ক্ষমতার পরিবর্তনের পথ নির্দেশ করবে।” এদিকে, শেখ হাসিনার প্রাক্তন মিত্র জাতীয় পার্টি এবং জামায়াত-ই-ইসলামীও র্যালির প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে গত অক্টোবরে হামলার জন্য সরকারকে দায়ী করা হয়েছে, যা তাদের প্রতিবাদের অন্যতম কারণ। শুক্রবার জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), যারা হাসিনার পতনে নেতৃত্ব দিয়েছিল, বিক্ষোভ করবে। এনসিপি নেতা আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, “এটি জনগণের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যম, আমরা ৩০ হাজার মানুষের সমাগম আশা করছি।”
শনিবার হিফাজত-ই-ইসলাম একটি “গ্র্যান্ড র্যালি”র ডাক দিয়েছে। সংগঠনের নেতা মামুনুল হক সরকারের নারী অধিকার কমিশনের সুপারিশ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, “ইউনূস হোন বা অন্য কেউ, আমরা নীরব থাকব না।” এই তিন দিনের বিক্ষোভ ইউনূস সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্লেষকরা বলছেন, নির্বাচনের সময়সূচি ঘোষণা না হলে জনরোষ আরও তীব্র হতে পারে, যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে নতুন মোড় দেবে।