৫০-এর পর শারীরিক সম্পর্ক, স্বাস্থ্যের গুপ্তধন

৫০ বছরের পর শারীরিক সম্পর্ক শুধু আনন্দই নয়, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মানসিক চাপ কমায়, হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখে এবং ঘুমের মান উন্নত করে। “অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিনের নিঃসরণ মানসিক শান্তি দেয়,” বলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. রিনা শর্মা। নিয়মিত শারীরিক সম্পর্ক রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং পেশী শক্তিশালী করে, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে শারীরিক সক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়ক।
শারীরিক সম্পর্ক হৃদস্পন্দন নিয়ন্ত্রণ করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া, সেরোটোনিন নিঃসরণ ঘুমের গুণমান বাড়ায় এবং একাকীত্ব দূর করে। “শারীরিক ও মানসিক বন্ধন মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য,” বলেন মনোবিজ্ঞানী প্রিয়া মেহতা। ৫০-এর পর এটি সঙ্গীর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তুলে জীবনে সুখ ও তৃপ্তি যোগ করে।
বিশ্লেষকদের মতে, সামাজিক সংস্কার ও চিকিৎসা সচেতনতা এই বয়সে শারীরিক সম্পর্কের গ্রহণযোগ্যতা বাড়িয়েছে। তবে, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও সঙ্গীর সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা জরুরি। এই বয়সে শারীরিক সম্পর্ক কেবল শারীরিক নয়, মানসিক সুস্থতারও চাবিকাঠি। সঠিক জীবনযাপন ও সচেতনতার মাধ্যমে এটি দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত করতে পারে।