মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ৫ কার্যকরী উপায়: ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসুন

আজকের দ্রুতগতির জীবনে অতীতের আক্ষেপ বা ভবিষ্যতের চিন্তায় ডুবে থাকা অনেকের জন্য ডিপ্রেশনের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পরিবার, কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন মানুষকে মানসিকভাবে ভেঙে দেয়। ডিপ্রেশনের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে অকারণে কান্না, বিরক্তি, অতিরিক্ত ঘুম, ওজন বৃদ্ধি বা হ্রাস, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, ক্লান্তি এবং ছোটখাটো বিষয়ে অতিরিক্ত উদ্বেগ। তবে কিছু সহজ পদক্ষেপের মাধ্যমে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। মনোবিদ ড. সুজিতা চক্রবর্তী বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া শারীরিক স্বাস্থ্যের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক পদক্ষেপ মানুষকে সুখী জীবনের পথ দেখাতে পারে।”
প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। অনেকে অন্যের জন্য সময় দিতে গিয়ে নিজের প্রতি অবহেলা করেন। আপনার আবেগকে বোঝা এবং প্রকাশ করা গুরুত্বপূর্ণ। দৈনন্দিন রুটিন তৈরিও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত সময়ে ঘুমানো এবং জেগে ওঠার অভ্যাস মনকে সংগঠিত করে। ড. চক্রবর্তী বলেন, “একটি নিয়মিত রুটিন মানসিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনে।” এছাড়া, প্রকৃতির কাছাকাছি সময় কাটানো, যেমন নিয়মিত হাঁটা, মনকে শান্ত রাখে এবং ডিপ্রেশনের প্রভাব কমায়।
অন্যদিকে, একাকীত্বের অনুভূতি কাটাতে পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলা অত্যন্ত কার্যকর। আপনার মনের কথা প্রকাশ করলে মানসিক বোঝা হালকা হয়। এছাড়া, একটি ডায়েরিতে আপনার অনুভূতি লিখে রাখা মনের জট খুলতে সাহায্য করে। “যখন আমরা আমাদের চিন্তাগুলো কাগজে লিখি, তখন মনের ঝড় অনেকটা শান্ত হয়,” বলেন মনোবিদ ড. রাহুল শর্মা। এই পদক্ষেপগুলি নিয়মিত অনুসরণ করলে ডিপ্রেশন এবং উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব। নিয়মিত প্রকৃতির সান্নিধ্য, সামাজিক সংযোগ এবং স্ব-যত্নের মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যকে শক্তিশালী করা যায়।