জানুন ১০টি খাদ্যের গোপন মেয়াদ: আটা থেকে আচার, কতদিন নিরাপদ?

জানুন ১০টি খাদ্যের গোপন মেয়াদ: আটা থেকে আচার, কতদিন নিরাপদ?

নয়াদিল্লি, ৭ মে: প্যাকেটজাত খাদ্যে উপাদান, পুষ্টিগুণ ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ লেখা থাকে, কিন্তু খোলা খাদ্যের মেয়াদ সম্পর্কে অনেকেই অজানা। বাজারে পাওয়া আটা, মশলা, আচারের মতো দৈনন্দিন জিনিসেরও মেয়াদ থাকে, যা না জানার কারণে অনেকে দীর্ঘদিন ব্যবহার করেন। এতে স্বাদ, গুণমান ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে। পুষ্টিবিদ ডা. শালিনী গুপ্তা বলেন, “খোলা খাদ্যের মেয়াদ না জানলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে।” আসুন জেনে নিই এমন ১০টি জিনিসের মেয়াদ সম্পর্কে।

আটা ৬-৮ মাস সংরক্ষণযোগ্য, তবে গোটা গমের আটা তেলের উপস্থিতির কারণে দ্রুত খারাপ হয়। অদ্ভুত গন্ধ বা স্বাদ হলে তা ফেলে দেওয়া উচিত। মেপল সিরপ খোলার পর দুই বছরের মধ্যে ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হতে পারে; ফ্রিজে রাখলে সুরক্ষিত থাকে। ফ্রোজেন ফুড, যেমন শাকসবজি বা মাংস, কয়েক মাস রাখা যায়, তবে তাজা স্বাদের জন্য কয়েক সপ্তাহের মধ্যে খাওয়া উচিত। ক্যানোলা তেল ঠান্ডা, শুকনো জায়গায় এক বছর স্থায়ী হয়, কিন্তু গরমে দ্রুত বাসি হয়। বেকিং পাউডার এক বছর পর কার্যকারিতা হারায়; গরম জলে মিশিয়ে বুদবুদ না উঠলে তা ফেলুন।

পিষে নেওয়া মশলা দুই বছর, সাবুত মশলা তিন-চার বছর এবং সবুজ মশলা এক বছর পর কার্যকারিতা হারায়। কেচাপ খোলার পর ৪-৬ মাসে গুণমান কমে; ফ্রিজে রাখা জরুরি। ন্যাচারাল পিনাট বাটার তিন মাসে স্বাদ হারায়, তবে ফ্রিজে ছয় মাস সংরক্ষণযোগ্য। আচারে তেলের অভাবে এক বছর পর ফাঙ্গাস জন্মায়, যা সাদা স্তর হিসেবে দেখা যায়। সাদা চাল এয়ারটাইট পাত্রে ১-২ বছর, ব্রাউন চাল ছয় মাস স্থায়ী হয়; খোলা রাখলে দ্রুত নষ্ট হয়। পুষ্টিবিদরা বলেন, “মেয়াদোত্তীর্ণ খাদ্য ব্যবহারে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।” সঠিক সংরক্ষণ ও মেয়াদ পরীক্ষা করে খাদ্য নিরাপদ রাখুন।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *