পিরিয়ডের ক্র্যাম্পে অস্থির অবস্থা? এই ৫টি কাজ করলে মিলবে আরাম

পিরিয়ড (মাসিক) নারীদের প্রজনন ক্ষমতার একটি স্বাভাবিক চক্র, যা প্রতি মাসে প্রায় ২৮-২৯ দিনের ব্যবধানে আসে। সাধারণত ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সে মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হয় এবং ৪৫ থেকে ৫৫ বছর পর্যন্ত চলে। একজন নারীর পিরিয়ড ৩ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হয়, তবে প্রথম দুই দিন বেশ কষ্টকর। এ সময় পেটে মোচড়ানো, কোমর ও পায়ে ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তির মতো সমস্যা দেখা দেয়। মাসিকের সময়ের সমস্যা কমাতে কিছু সহজ উপায় অবলম্বন করা যায়। যেমন, ব্যথা কমাতে প্রাকৃতিক উপাদানের পানীয় তৈরি করে খাওয়া যায়। এই নিবন্ধে জানবেন, পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কোন প্রাকৃতিক পানীয় খাবেন এবং আর কী করলে ব্যথায় আরাম মিলবে।
অনেক জায়গায় পিরিয়ড নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা এখনও নিষিদ্ধ বলে গণ্য হয়। এ কারণে অনেক নারী তাদের ব্যথার কথা প্রকাশ করতে পারেন না। অনিয়মিত রুটিন, সুষম খাদ্য না খাওয়ার মতো ভুলগুলোও প্রায়ই ব্যথা বাড়ার কারণ হয়। চলুন জেনে নিই, পিরিয়ডের ব্যথা থেকে আরাম পেতে কী করবেন।
সেঁক দিলে মিলবে আরাম
পিরিয়ডের সময় ব্যথায় কষ্ট পেলে পেটের নিচের অংশে গরম জলর ব্যাগ দিয়ে সেঁক দিন। এতে অনেকটা আরাম মেলে। সেঁকের জন্য হিটিং প্যাডও ব্যবহার করা যায়। এটি পেশিকে শিথিল করে, ফলে ব্যথা কমে।
এই চা দেবে ব্যথা থেকে মুক্তি
পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে আদা ও কাঁচা হলুদের চা তৈরি করে খান, এতে সামান্য গুড় মেশান। তবে যদি অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা থাকে, তবে চায়ে গুড় না দেওয়াই ভালো।
ম্যাসাজে মিলবে আরাম
পিরিয়ডের ক্র্যাম্প ও পেশির ব্যথা কমাতে গরম তেল দিয়ে ম্যাসাজ উপকারী। পেটের নিচের অংশ ছাড়াও কোমর, পিঠ, পায়ের পাতা ও তলায় ম্যাসাজ করানো যায়।
যোগ বা স্ট্রেচিং করুন
পিরিয়ডের ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে সুপ্ত বদ্ধকোণাসন, তিতলি আসন, বালাসনের মতো যোগাসন করুন। এ ছাড়া কিছু স্ট্রেচিং ব্যায়ামও করতে পারেন। নিয়মিত যোগ ও ব্যায়াম সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
মেজাজ ভালো রাখতে কী করবেন?
পিরিয়ডের ব্যথায় মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। হরমোনের পরিবর্তনও মুড সুইংয়ের কারণ। এর জন্য ডার্ক চকলেট খান, এতে ব্যথা কমবে এবং মেজাজও ভালো হবে। পর্যাপ্ত ঘুম, অনুলোম-বিলোম, প্রচুর জল পান করুন। চেষ্টা করুন সাধারণ বা হালকা গরম জল পান করতে।