শরীর ঠিক রাখতে চাইলে কার্বোহাইড্রেটকে একেবারে বাদ নয়, জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

শরীর ঠিক রাখতে চাইলে কার্বোহাইড্রেটকে একেবারে বাদ নয়, জানুন কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা

শরীরকে সঠিকভাবে চালনা করতে প্রোটিন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পাশাপাশি কার্বোহাইড্রেট বা কার্বসও অত্যন্ত জরুরি। শরীরে কার্বের পরিমাণ কম বা বেশি হলে এর সরাসরি প্রভাব স্বাস্থ্যের উপর পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্বোহাইড্রেট শরীরের প্রাথমিক শক্তির উৎস। খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করা কার্বস শরীরে গিয়ে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয়, যা কোষ, টিস্যু এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে কাজ করার শক্তি জোগায়।

আজকাল মানুষ খাদ্যাভ্যাস নিয়ে বেশ সচেতন, তবে অনেকেই ভেবে নেন কার্বোহাইড্রেট মানেই খারাপ বা মোটা হওয়ার কারণ। কিন্তু এটি একটি ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট যা সঠিক মাত্রায় গ্রহণ না করলে থাকান, মাথা ঘোরা, দুর্বলতা এমনকি মনোযোগে ঘাটতির মতো সমস্যা হতে পারে। অপরদিকে, অতিরিক্ত বা ভুল উৎস থেকে যেমন প্রসেসড ফুড বা অতিরিক্ত চিনি থেকে কার্বস গ্রহণ করলে তা শরীরে চর্বি হয়ে জমে যেতে পারে, যার ফলে স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

ডা. শাহিদ, ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, অ্যাপোলো স্পেক্ট্রা হাসপাতাল, জানান, প্রত্যেক মানুষের বয়স, ওজন, দৈহিক কার্যকলাপ এবং স্বাস্থ্য অনুযায়ী কার্বসের প্রয়োজন নির্ধারিত হয়। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মোট ক্যালোরির ৪৫-৬৫ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট থেকে আসা উচিত। উদাহরণস্বরূপ, দৈনিক ২০০০ ক্যালোরি গ্রহণ করলে ২২৫-৩২৫ গ্রাম কার্বস প্রয়োজন।

ফল, সবজি, গোটা শস্য, ডাল ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর উৎস থেকে পরিমিত কার্বস গ্রহণ করলে তা শরীরের জন্য উপকারী। ওজন কমানো, ডায়াবেটিস বা থাইরয়েড থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েটে কার্বের পরিমাণ ঠিক করতে হবে। কোনও ডায়েট অনুসরণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সেরা পথ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *