কম বয়সে এই ভুলগুলো করছেন? এই তিন অভ্যাসে অকাল বার্ধক্য অনিবার্য!

গবেষকদের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অনুযায়ী, ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং শরীরচর্চার অভাবের মতো অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি ৩৬ বছর বয়স থেকেই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাতে পারে। জ্যভাস্কিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ফিনিশ শহরের প্রায় ৩৭০ জন বাসিন্দাকে নিয়ে এই গবেষণাটি পরিচালনা করেন। ২৭, ৩৬, ৪২, ৫০ এবং ৬১ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারীদের দীর্ঘমেয়াদী পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই চাঞ্চল্যকর ফলাফল উঠে এসেছে। অ্যানালস অফ মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণাপত্রটি কম বয়সের খারাপ অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদী কুপ্রভাব সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ বয়সে এই ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসগুলি আপাতদৃষ্টিতে ক্ষতিকর না মনে হলেও, বয়স ৩৬ পেরোলেই এর নেতিবাচক প্রভাব স্পষ্ট হতে শুরু করে। বিশেষ করে ব্যায়ামের অভাব শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায় এবং ধূমপান মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন শারীরিক এবং মানসিক উভয় স্বাস্থ্যের অবনতিতেই ভূমিকা রাখে। গবেষকরা বলছেন, এই তিনটি অভ্যাস দীর্ঘমেয়াদে আরও শক্তিশালী ক্ষতিকর প্রভাব তৈরি করে, যার ফলে হতাশাজনক লক্ষণ এবং বিপাকীয় ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।
জ্যভাস্কিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেরোন্টোলজি রিসার্চ সেন্টারের স্বাস্থ্য বিজ্ঞানী এবং গবেষণার প্রধান লেখক টিয়া কেকালাইনেন জোর দিয়ে বলেছেন যে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করলে হৃদরোগ এবং ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যায় এবং অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। এই গবেষণার ফলাফল থেকে বোঝা যায় যে, ৩৬ থেকে ৬১ বছর বয়স পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর আচরণের কুপ্রভাব একই রকম থাকে, যা ইঙ্গিত দেয় যে এই যোগসূত্রটি শুধুমাত্র মধ্যবয়সের পরবর্তী পর্যায়ে নয়, বরং ৩৬ বছর বয়স থেকেই বিদ্যমান। তাই, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য আচরণ মোকাবিলা করার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন গবেষকরা।