সন্তানের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করছে এই ৫ ভুল, আপনি এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন!

যদি কোনো শিশুকে ছোটবেলা থেকে অতিরিক্ত বকাঝকা বা মারধর করা হয়, তাহলে সে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। ভবিষ্যতে এমন শিশুরা সবসময় ভীতু এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে। তারা নিজেদের অক্ষম মনে করে এবং কোনো নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে ভয় পায়। একইভাবে, পারিবারিক কলহ বা একাকীত্বও শিশুদের মানসিক বিকাশে বাধা দেয়। যে শিশুরা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে পারে না বা অবহেলিত বোধ করে, তাদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও ভয়ের জন্ম হয়।
সন্তানের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ভূমিকা অনস্বীকার্য। শৈশব থেকেই তাদের চিন্তা, অনুভূতি এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠতে শুরু করে, যা তাদের ব্যক্তিত্বের ভিত্তি স্থাপন করে। এই সময়কালে ঘটে যাওয়া ছোট বা বড় যেকোনো ঘটনাই শিশুর মনে গভীর প্রভাব ফেলে। অনেক সময় দেখা যায়, কিছু শিশু অত্যন্ত লাজুক, ভীতু এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে ভোগে। এর পেছনে সাধারণত শৈশবের কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতি দায়ী।
শিশুদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে অভিভাবকদের কিছু সাধারণ ভুল এড়িয়ে চলা উচিত। সন্তানের অনুভূতিকে গুরুত্ব না দেওয়া, তাদের আবেগপ্রবণতাকে নাটক বা দুর্বলতা হিসেবে দেখা, অন্য শিশুদের সঙ্গে তুলনা করা, বা তাদের নিয়ে হাসিঠাট্টা করা- এসবই শিশুদের আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়। এই ধরনের আচরণ শিশুদের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করে এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।