গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে ঝিঙে অন্যতম। এই সবজি শুধু সহজলভ্যই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ঝিঙে হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং শরীরকে সতেজ রাখতে সাহায্য করে। এটি ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করে এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা গরমের দিনে অত্যন্ত জরুরি। ঝিঙেতে থাকা ইলেক্ট্রোলাইট যেমন পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সোডিয়াম শরীরকে জলশূন্যতা থেকে রক্ষা করে।

ঝিঙে ওজন কমাতেও সহায়ক, কারণ এতে ক্যালরি কম এবং ফাইবারের পরিমাণ বেশি। প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং পাইলস, বদহজম, গ্যাস ও অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের কোষ থেকে ফ্রি র‍্যাডিকেল দূর করে, যা কোষের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। তাই, সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ঝিঙে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

এছাড়াও, ঝিঙে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, কারণ এটি ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ এবং রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতেও এটি উপকারী। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং চুল পড়া রোধ করতে ঝিঙে সহায়ক। ভিটামিন ‘এ’ থাকায় এটি চোখের জন্য ভালো এবং ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। লিভার থেকে টক্সিন দূর করতেও ঝিঙে কার্যকর।