কিডনি রক্ষায় সচেতনতা: এই ৮ অভ্যাস বাঁচাতে পারে জীবন

কিডনি রক্ষায় সচেতনতা: এই ৮ অভ্যাস বাঁচাতে পারে জীবন

কিডনির রোগ, যাকে প্রায়ই ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়, আজকাল একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যা। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস বা বংশগত প্রবণতার কারণে এই রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিডনি সুস্থ রাখতে জীবনযাত্রায় কিছু সহজ পরিবর্তন অত্যন্ত কার্যকর। ডা. অমিত রায়, কলকাতার একজন বিশিষ্ট নেফ্রোলজিস্ট, বলেন, “সঠিক অভ্যাস গ্রহণ করলে কিডনি রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব।” পর্যাপ্ত জলপান, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং নিয়মিত শরীরচর্চা এর মধ্যে অন্যতম।

প্রথমত, অতিরিক্ত পেইনকিলার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা জরুরি। এই ওষুধগুলো কিডনির কার্যক্ষমতার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। এছাড়া, ডায়াবেটিস রোগীদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডা. রায় জানান, “অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস কিডনি ফেইলিওরের অন্যতম কারণ।” এছাড়া, প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস জল পান করা কিডনি থেকে টক্সিন বের করে পাথর সৃষ্টির ঝুঁকি কমায়। সোডা বা কোমল পানীয় এড়িয়ে জুস বা স্যুপের মতো তরল গ্রহণে জোর দেওয়া উচিত।

ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং ধূমপান-মদ্যপান পরিহারও কিডনি স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না রাখলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এছাড়া, কাঁচা লবণ, জাঙ্ক ফুড এবং প্যাকেটজাত খাবার এড়িয়ে ক্যালসিয়াম ও সাইট্রিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ ফল, যেমন লেবু বা ব্লুবেরি, খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। নিয়মিত শরীরচর্চা, বিশেষ করে যোগব্যায়াম, শরীর থেকে টক্সিন বের করে কিডনির কার্যক্ষমতা বাড়ায়।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষাও কিডনি রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ। বছরে দু-তিনবার বডি চেক-আপ করলে সমস্যা প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে, যা চিকিৎসাকে সহজ করে। “সচেতনতাই কিডনি রোগের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার,” বলেন ডা. রায়। এই সহজ অভ্যাসগুলো মেনে চললে কিডনি সুস্থ রাখা সম্ভব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *