স্তনের সুন্দর গঠন নারীর শারীরিক সৌন্দর্যকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। কিন্তু অতিরিক্ত বড় স্তন অনেক সময় শারীরিক অস্বস্তি, পোশাকের সীমাবদ্ধতা এবং ব্যায়ামের সময় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ইস্ট্রোজেন হরমোনের প্রভাবে স্তনের আকার বৃদ্ধি পেলেও, প্রাকৃতিক উপায়ে এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সঠিক জীবনযাপন ও ঘরোয়া পদ্ধতি এই সমস্যার সমাধান দিতে পারে। “প্রাকৃতিক উপায় শরীরের জন্য নিরাপদ এবং কার্যকর,” বলেন পুষ্টিবিদ ড. রিয়া সেন।

ফ্ল্যাক্সসিড এবং গ্রিন টি এই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্যকর। ফ্ল্যাক্সসিডে থাকা ইস্ট্রোজেন-হ্রাসকারী উপাদান স্তনের আকার কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন এক গ্লাস উষ্ণ জলে এক টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসিড পাউডার মিশিয়ে পান করলে ফল পাওয়া যায়। অন্যদিকে, গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়িয়ে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরায়, যা স্তনের আকার কমাতেও ভূমিকা রাখে। দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া, পর্যাপ্ত জল পান শরীরের টক্সিন দূর করে এবং চর্বি জমা রোধ করে, যা স্তনের আকার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

মেথি বীজের পেস্ট এবং লেবু জলও কার্যকর সমাধান। মেথি স্তনের দৃঢ়তা বাড়ায় এবং ঝুলে যাওয়া প্রতিরোধ করে। রাতভর ভেজানো মেথি বীজ বেটে পেস্ট তৈরি করে স্তনে লাগিয়ে শুকানোর পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়। একইভাবে, সকালে খালি পেটে লেবু জল পান শরীরের মেদ কমায়। তবে, নতুন কোনো পদ্ধতি শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এই ঘরোয়া কৌশলগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে প্রাকৃতিকভাবে স্তনের আকার কমানো সম্ভব এবং শারীরিক স্বাচ্ছন্দ্য ফিরে পাওয়া যায়।