সুখী দাম্পত্যের চাণক্য নীতি: বিয়ের আগে সঙ্গীর মধ্যে এই জিনিসগুলি যাচাই করে নিন

কথায় বলে, বিয়ে সাত জন্মের বন্ধন। স্বয়ং বিধাতা দুই ব্যক্তিকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করলেও, আচার্য চাণক্য তাঁর নীতিশাস্ত্রের পাশাপাশি ব্যক্তির পরিবার সম্পর্কিত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁর মতে, বিবাহের মতো জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গীর কিছু বিশেষ গুণাবলী থাকা অত্যন্ত আবশ্যক।
শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্যই সঙ্গীর চরিত্রের পরিচয় দেয় না। ব্যক্তি সুন্দর দেখতে হলে যে কারও পছন্দ হয় ঠিকই, তবে বাইরে থেকে সুন্দর হলেই যে সেই ব্যক্তির মনও পরিষ্কার হবে, তা কিন্তু নয়। তাই যারা বাইরের সৌন্দর্যের নেশায় আকৃষ্ট না হয়ে সঙ্গীর সুন্দর মন ও চিন্তাধারায় মুগ্ধ হয়, সেই জুটিই দাম্পত্য জীবন সুখে স্বাচ্ছন্দ্যে উপভোগ করতে পারে। এমনটাই মনে করেন আচার্য চাণক্য।
তাঁর মতানুযায়ী, যে সকল ব্যক্তির মধ্যে ধৈর্য আছে, তারাই তাদের স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করার সুযোগ পায়। এই ধরনের ব্যক্তিরা কঠিন থেকে কঠিনতর পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করে জীবনে উন্নতির দিকে এগিয়ে যায়। ভালো জীবনসঙ্গীর অন্যতম গুণাবলী হিসেবে চাণক্য সংস্কৃতিবান হওয়াকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর মতে, জীবনসঙ্গীর মধ্যে মূল্যবোধ থাকা অত্যন্ত জরুরি। মূল্যবোধের অভাব থাকলে সেই ব্যক্তি তার জীবনসঙ্গীকে কখনোই সম্মান ও শ্রদ্ধা করতে পারে না।
তাঁর মতামত অনুযায়ী, ব্যক্তি যদি কঠোর বা তাঁর মধ্যে রাগের মাত্রা অত্যাধিক থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে ভুলেও জীবনসঙ্গী করার কথা ভাববেন না। এতে ভবিষ্যতে দাম্পত্য জীবনে কলহ লেগেই থাকে। একথা সত্যি যে কোনো ব্যক্তিই একবারে নিখুঁত নয়, কারণ এটা বাস্তব, রূপকথার গল্প নয়। তবে একজন সঠিক জীবনসঙ্গীকে নির্বাচন করতে হলে আচার্য চাণক্যের এই মতামতগুলি একবারেই ফেলে দেওয়ার মতো নয়। আসলে এই গুণাবলীগুলি মিলিত হয়েই কিন্তু একটি মানুষকে আদর্শ সঙ্গীর রূপ দেয়।