আপনার কিডনিকে ফিট রাখতে চান? তাহলে পাতে রাখুন এই খাবারগুলো!

স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন থাকলেও কিডনি নিয়ে আমরা বেশ উদাসীন। ফলস্বরূপ, প্রতি বছর কিডনি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, দুর্বল কিডনিতে খুব সহজেই নানাবিধ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। সময়ের সাথে এই সমস্যাগুলোর প্রকোপ দ্বিগুণ হারে বাড়তে থাকে।

কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে অবশ্যই প্রতিদিন পর্যাপ্ত জল পান করতে হবে। এই নিয়মের ব্যতিক্রম কোনভাবেই করা যাবে না। সেই সঙ্গে খাদ্যাভাসে রাখতে হবে কিডনির জন্য উপকারী খাদ্য উপাদানসমূহ।

লাল ক্যাপসিকাম

লাল ক্যাপসিকামে থাকে খুবই স্বল্প মাত্রার পটাশিয়াম, যা কিডনির জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ। এছাড়া এতে থাকে শরীরের জন্য উপকারী ও প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট লাইকোপেন, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রসুন

অন্যান্য সকল ধরণের মূলসহ সবজির মাঝে সবচেয়ে বেশি ঔষধি গুণাগুণ পাওয়া যায় রসুন থেকে। হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখার পাশাপাশি কিডনিকে সুস্থ রাখতেও প্রাকৃতিক এই উপাদানটি বিশেষভাবে উপকারিতা বহন করে। পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে রসুন কিডনি ফেইল্যুরের মতো বড় ধরণের সমস্যাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

পেঁয়াজ

প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের রান্নায় বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদান হলো পেঁয়াজ। অতি পরিচিত এই খাদ্য উপাদানটি রক্তে কোলেস্টেরল ও চিনির মাত্রাকে স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা পরোক্ষভাবে কিডনির উপর বাড়তি চাপ পড়া থেকে বিরত রাখে।

লেবুর রস

ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য উপকারী লেবুর রস একইসাথে কিডনিকে নানান ধরণের অসুস্থতার হাত থেকে রক্ষা করে। লেবুর রস শরীরের pH এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে কিডনির ছোটখাটো সমস্যা দেখা দেয় না।

হলুদ

পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ও উপকারিতায় ভরপুর প্রাকৃতিক উপাদান হলো হলুদ। হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট মূলত কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতে কাজ করে।

গাজর

সুস্বাদু এই সবজিটি থেকে পাওয়া যায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন-এ, যা কিডনি ও মূত্রাশয়কে ক্ষতিকর টক্সিন উপাদান থেকে সুরক্ষিত রাখে। এছাড়া গাজর খাওয়ার ফলে শরীরে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় ক্রিয়েটিনিন এর মাত্রা হ্রাস পায়। ক্ষতিকর ক্রিয়েটিনিন কিডনিজনিত নানান ধরণের অসুস্থতার অন্যতম বড় একটি কারণ।

তরমুজ

মিষ্টি ও মজাদার গ্রীষ্মকালীন এই ফলটি থেকে পাওয়া যায় লাইকোপেন, যা খুব শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। যা অক্সিজেন রেডিক্যালকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *