স্বামীদের ঘরোয়া কাজে অনীহা কেন? ৫টি কারণ যা প্রতিটি স্ত্রীর জানা উচিত

বেশির ভাগ বিবাহিত মহিলারাই তাঁদের সঙ্গীর প্রতি এই একটি বিষয়ে অভিযোগ করেন যে, তাঁরা ঘরের কোনও কাজই করেন না। এর ফলে সমস্ত কাজ একা তাঁদেরই করতে হয় এবং দিনের শেষে তাঁরা ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েন।
যদি আপনারও আপনার সঙ্গীর সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া বা কথা কাটাকাটি হয়, তবে সবার আগে এর পেছনের কারণ জানা দরকার। আপনার সঙ্গী এমনটা করার পেছনে কি কোনও বিশেষ কারণ আছে? আসুন জেনে নিই, কী কারণে স্বামীরা ঘরের কাজে তাঁদের সঙ্গিনীদের সাহায্য করেন না।
সামাজিক কারণ
পুরুষদের রান্না বা পরিষ্কারের মতো কাজ থেকে দূরে থাকার একটি কারণ হতে পারে সামাজিক চাপ। কারণ আজও অনেক জায়গায় এই কাজগুলো পুরুষদের নয়, মহিলাদের কাজ বলে মনে করা হয়।
ঐতিহ্যগত কারণ
যেসব পুরুষ এমন পরিবারে বড় হয়েছেন, যেখানে তাঁদের বাবারাও কখনও ঘরের কাজে অংশ নেননি, তাঁরা প্রায়শই এই আচরণ दोहराতে দেখা যায়। ছোটবেলায় ঘরে এমন পরিবেশ দেখার কারণে তাঁদের কাছে এই যৌথ দায়িত্বগুলো অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে।
কাজের চাপ
অফিসে বহু ঘণ্টা কাজ করা স্বামীরা প্রায়শই ঘরের কাজের চেয়ে তাঁদের রোজগারকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে পছন্দ করেন। এমন লোকেরা ঘরে তাঁদের আর্থিক ভূমিকাকেই তাঁদের প্রাথমিক অবদান বলে মনে করেন। যদিও অনেক সময় এমন মনোভাবের কারণে ঘরোয়া দায়িত্বের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে।
ক্লান্তি
অনেক সময় স্বামীরা সত্যিই ঘরের কাজকর্মে তাঁদের সঙ্গীনির সাহায্য করতে চান, কিন্তু তাঁদের স্বাস্থ্য এতে সায় দেয় না। অফিসে কাজের ক্রমবর্ধমান চাপ এবং যাতায়াতের ক্লান্তি এতটাই বেশি হয়ে যায় যে তাঁরা চাইলেও ঘরের কোনও কাজ করতে পারেন না।
আলস্য এবং টিপ্পনি
যখনই পুরুষরা ঘরের কাজে আগ্রহ দেখান, তখনই প্রায়শই তাঁদের পরিবার, আত্মীয় বা বন্ধুদের কাছ থেকে টিপ্পনি শুনতে হয়। তাঁদেরকে স্ত্রীর গোলাম ইত্যাদি পর্যন্ত বলা হয়। এতে বিরক্ত হয়ে পুরুষরা ঘরোয়া কাজ থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। এছাড়াও অনেক সময় পুরুষদের ওপর তাঁদের আলস্য এতটাই চেপে বসে যে তাঁরা ঘরের কাজ করা থেকে বিরত থাকেন।