সবসময় স্ট্রেসে ভুগছেন? নিজের মধ্যে আনুন এই ৫টি পরিবর্তন, ৩ দিনে ভালো লাগবে!

আজকের ব্যস্ত জীবনে প্রতিটি মানুষ কোনো না কোনো কারণে চিন্তিত। এমন পরিস্থিতিতে আমরা অনেক সময় ছোট ছোট বিষয়েও চাপ নিয়ে নিই এবং ধীরে ধীরে এটি আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। বয়স বাড়ার সাথে সাথে দায়িত্ব বাড়ে এবং তারপর শুরু হয় স্ট্রেসের গল্প।
এটি ধীরে ধীরে মানুষকে বিরক্ত করে তোলে। দায়িত্বের সাথে স্ট্রেস আসা স্বাভাবিক, তবে যদি এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় এবং অনেক সময় আমরা চাপের কারণে আমাদের দৈনন্দিন কাজও সঠিকভাবে করতে না পারি, যার কারণে আমরা আরও বিরক্ত হই। তাই, আপনি যদি স্ট্রেস থেকে বাঁচার কোনো উপায় খুঁজছেন, তাহলে এই আর্টিকেলে কিছু সহজ উপায় বলা হয়েছে যা অবলম্বন করে আপনি স্ট্রেস দূর করতে পারেন।
বয়স বাড়ার সাথে যদি স্ট্রেসও বাড়ে, তাহলে এর অনেক কারণ থাকতে পারে। যার কারণে আপনি সবসময় মানসিক চাপে থাকেন। যদি আপনি আপনার ডায়েট (diet) এবং লাইফস্টাইলে (lifestyle) পরিবর্তন আনেন, তাহলে স্ট্রেস কমানো যেতে পারে। তাহলে আসুন জেনে নিই, স্ট্রেসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে কী কী বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
এই ৫টি অভ্যাস স্ট্রেস দূর করবে
১. ছোট ছোট মিল নিন: আপনি একবারে খাবার না খেয়ে দিনে ৩-৪টি মিল নিন। এতে আপনার ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ হয় এবং আপনি অতিরিক্ত খাওয়া থেকে বাঁচেন, যার ফলে আপনার ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে মেটাবলিজম (metabolism) বাড়ে এবং এনার্জি লেভেলও (energy level) বৃদ্ধি পায়। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, ব্লাড সুগার লেভেল (blood sugar level) ঠিক রাখতে এবং শরীরে এনার্জি বুস্ট (boost) করতে সাহায্য করে।
২. ব্যায়াম এবং যোগাসন করুন: আপনি চাইলে জিমে গিয়েও ওয়ার্কআউট (workout) করতে পারেন অথবা যোগাসনও করতে পারেন। আপনাকে খুব বেশি ভারী ব্যায়াম করতে হবে না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম এবং হাঁটার জন্য যান। এটি আপনার শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে। ব্যায়ামের ফলে হাড় মজবুত হয়, হার্ট হেলথ (heart health) ভালো থাকে এবং ব্লাড প্রেশার (blood pressure) নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম নিন: যদি আপনি সুস্থ জীবনযাপন করতে চান, তাহলে ঘুমকে আপনার সেরা বন্ধু বানিয়ে নিন। অর্থাৎ, রাতে সময়মতো ঘুমানোর ফলে আপনার অর্ধেক সমস্যা এমনিতেই শেষ হয়ে যায়। কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই নিন। এনসিবিআই (NCBI) তে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুযায়ী, যারা প্রতিদিন ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমান, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচেন। এতে আপনার ক্লান্তি, দুর্বলতা, স্ট্রেস কম অনুভব হবে। এটি আপনার শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।
৪. বেশি চা এবং কফি পান করবেন না: প্রায়শই বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানুষ কফি এবং চা বেশ পরিমাণে পান করতে শুরু করে, তবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কফি এবং চা পান করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। মনে রাখবেন যে, রাতে ঘুমানোর আগে কফি এবং চা পান করবেন না, কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে যা ঘুমে বাধা দেয়।
৫. সামাজিকভাবে সক্রিয় থাকা জরুরি: বয়স বাড়ার সাথে সাথে বন্ধুত্ব করা বন্ধ করবেন না। আপনি নতুন মানুষের সাথে দেখা করুন, বন্ধুত্ব করুন এবং তাদের সাথে ঘুরতে যান। এতে আপনার মানসিক এবং আবেগিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। আপনি যখন মানুষের সাথে দেখা করেন, তখন অনেক ধরনের কথা হয় যার ফলে আপনার জ্ঞানও বাড়ে এবং আপনার মেজাজও ভালো থাকে।
এই পরিবর্তনগুলি আপনার দৈনন্দিন জীবনে এনে আপনি স্ট্রেস থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। আপনার কি স্ট্রেস কমানোর জন্য অন্য কোনো কার্যকর উপায় আছে?