জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্য গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য মাণিক্য রত্ন ধারণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই রত্নকে রুবি স্টোন নামেও ডাকা হয় এবং এটি ধারণ করার অনেক উপকারিতা রয়েছে। সূর্য হল আত্মা, আত্মবিশ্বাস, যশ, সাফল্য এবং স্বাস্থ্যের কারক। যদি কোষ্ঠীতে সূর্য দুর্বল থাকে, তবে জাতক কোনো কাজে সাফল্য পায় না, তার আত্মবিশ্বাস কম থাকে, যশ প্রাপ্তি হয় না এবং স্বাস্থ্য দুর্বল থাকে। এমন পরিস্থিতিতে, ব্যক্তিকে সূর্য গ্রহকে শক্তিশালী করার জন্য প্রতিকার করা উচিত। এই প্রতিকারগুলির মধ্যে মাণিক্য রত্ন ধারণ করা একটি কার্যকর উপায়। তবে, রত্ন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই এটি ধারণ করা উচিত।

মাণিক্য রত্ন ধারণের উপকারিতা

মাণিক্য রত্ন ধারণ করলে হৃদরোগী এবং চক্ষুরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা উপকৃত হন। এছাড়াও, যারা সরকারি চাকরি বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত, তাদের জন্য মাণিক্য রত্ন ধারণ করা বিশেষ সাফল্যের যোগ তৈরি করে। এটি তাদের উচ্চ পদ এবং যশ এনে দেয়।

কোন রাশির জাতকদের জন্য মাণিক্য শুভ?

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মেষ, সিংহ এবং ধনু রাশির জাতকরা মাণিক্য রত্ন ধারণ করতে পারেন। এছাড়াও, যাদের কোষ্ঠীতে সূর্য উচ্চ বা ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে, তারাও মাণিক্য ধারণ করতে পারেন।

কারা মাণিক্য রত্ন ধারণ করবেন না?

কন্যা, মকর, মিথুন, তুলা এবং কুম্ভ রাশির জাতকদের মাণিক্য রত্ন ধারণ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। এটি এই জাতকদের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও, কখনও মাণিক্য রত্ন নীলম, গোমেদ এবং লহসুনিয়া-এর সঙ্গে একসাথে পরবেন না, কারণ এটি বিপদ ডেকে আনতে পারে।

মাণিক্য রত্ন ধারণের পদ্ধতি

মাণিক্য রত্ন সোনা বা তামার আংটিতে বসিয়ে অনামিকা আঙুলে ধারণ করা উচিত। রবিবার সূর্যোদয়ের সময় স্নান করার পর মাণিক্য রত্ন ধারণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। রত্ন ধারণ করার আগে প্রথমে গঙ্গাজল এবং কাঁচা দুধ দিয়ে এটি শুদ্ধ করুন। তারপর পূজা করুন। এরপর আংটি পরুন।