এই ৪টি তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা মহাদেবের প্রিয় হন, পান ভাগ্যের সঙ্গ

সংখ্যা আমাদের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সংখ্যাগুলিতে অনেক রহস্যও লুকিয়ে থাকে। সংখ্যা থেকে ভবিষ্যৎ জানার এই বিদ্যাকে সংখ্যা জ্যোতিষ বা নিউমারোলজি বলা হয়।
সংখ্যা জ্যোতিষে যেকোনো ব্যক্তির জন্ম তারিখ যোগ করে একটি সংখ্যা বের করা হয়, যাকে মূলাঙ্ক বলা হয়। সেই মূলাঙ্কের ভিত্তিতে ব্যক্তির ভবিষ্যৎ এবং স্বভাব সম্পর্কে সহজেই জানা যায়। আজ আমরা আপনাকে সেই মূলাঙ্ক সম্পর্কে বলছি, যে তারিখে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিদের উপর মহাদেবের কৃপা সর্বদা বজায় থাকে। জেনে নিন, কোনটি সেই মূলাঙ্ক…
কোন মূলাঙ্কের জাতকরা পান মহাদেবের আশীর্বাদ?
নিউমারোলজি অনুসারে, যাদের জন্ম যেকোনো মাসের ২, ১১, ২০ এবং ২৯ তারিখে হয়, তাদের মূলাঙ্ক হলো ২, কারণ এই সংখ্যাগুলি যোগ করলে ২ সংখ্যাটিই আসে। সংখ্যা জ্যোতিষ অনুসারে মূলাঙ্ক ২-এর সম্পর্ক চন্দ্রের সাথে। চন্দ্র সর্বদা মহাদেবের মস্তকে থাকে, যার কারণে এই মূলাঙ্কের জাতকদের উপর মহাদেবের আশীর্বাদ বজায় থাকে।
মূলাঙ্ক ২-এর জাতকদের স্বভাব ও ভবিষ্যৎ কেমন হয়?
১. সংখ্যা জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, মূলাঙ্ক ২-এর জাতকদের উপর ভাগ্য সর্বদা সদয় থাকে। এরা শান্ত মনের হন।
২. এই মূলাঙ্কের জাতকরা প্রতিটি সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নেন। কঠিন সময়েও এরা সাহস হারান না।
৩. এরা পরিশ্রমীও হন। ভগবান শিবের কৃপায় এরা নিজেদের পরিশ্রমের ফল খুব দ্রুত পান।
৪. মহাদেবের আশীর্বাদে এদের ভক্তি-ভাবনায় খুব মন বসে। এরা ধার্মিক কাজেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।
৫. এই লোকেরা যে কোনো ক্ষেত্রেই থাকেন না কেন, সেখানে নাম অর্জন করেন এবং নিজেদের একটি আলাদা স্থান তৈরি করেন।
৬. এই মূলাঙ্কের জাতকদের তাদের মাতার প্রতি বিশেষ প্রেম থাকে এবং মামা-মাসী থেকে তাদের ধনলাভের যোগও তৈরি হয়।
৭. এরা বেশ সৃজনশীলও হন, প্রতিটি কাজ নিজের মতো করে করতে বিশ্বাস রাখেন।
৮. এরা দেখতে আকর্ষণীয় হন। এদের পারিবারিক জীবন সুখী ও সমৃদ্ধ থাকে।