এই ৫ লক্ষণ উপেক্ষা করলে বাড়তে পারে থাইরয়েড ক্যান্সার! আজই সতর্ক হন

এই ৫ লক্ষণ উপেক্ষা করলে বাড়তে পারে থাইরয়েড ক্যান্সার! আজই সতর্ক হন

থাইরয়েড ক্যান্সার একটি গুরুতর রোগ, যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থির কোষগুলি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে শুরু করে এবং ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। প্রজাপতির আকারের এই গ্রন্থিটি গলার নিচের অংশে থাকে এবং এটি শরীরে হরমোন তৈরি করে হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন, রক্তচাপ, শরীরের তাপমাত্রা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। সম্প্রতি থাইরয়েড ক্যান্সারের ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। এই রোগ যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। সমস্যা হলো, এর প্রাথমিক লক্ষণগুলি এতই সাধারণ যে, মানুষ সেগুলোকে প্রায়শই উপেক্ষা করে। তবে, এখানে আপনি এই ৫টি লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং সময় মতো চিকিৎসা শুরু করে ক্যান্সারকে পরাজিত করতে পারবেন।

থাইরয়েড ক্যান্সারের ৫টি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ:

ঘাড়ে ফোলা বা পিণ্ড: ঘাড়ের নিচের অংশে যদি কোনো ধরনের ফোলা বা পিণ্ড অনুভূত হয়, তবে এটি থাইরয়েড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এই পিণ্ডটি প্রায়শই ব্যথাহীন হয় এবং ধীরে ধীরে বাড়ে, তাই এটিকে প্রায়শই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয় না। এটি শক্ত এবং নড়াচড়া করতে কঠিন হতে পারে। অনেক সময় মানুষ এটিকে সিস্ট বা গলগণ্ড ভেবে এড়িয়ে যায়, কিন্তু এমন কোনো পিণ্ডের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরীক্ষা করানো উচিত।

কর্কশ কণ্ঠস্বর: থাইরয়েড গ্রন্থির কাছে থাকা স্নায়ুর উপর চাপ পড়লে কণ্ঠস্বরে কর্কশতা বা পরিবর্তন আসতে পারে। যদি এই অবস্থা কয়েক সপ্তাহ ধরে থাকে এবং সর্দি-কাশির চিকিৎসাতেও ঠিক না হয়, তবে এটি ক্যান্সারের উপস্থিতির ইঙ্গিত হতে পারে।

গিলতে বা শ্বাস নিতে অসুবিধা: থাইরয়েডে টিউমার বড় হলে খাদ্যনালী বা শ্বাস নালীর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে গিলতে বা শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে। মানুষ প্রায়শই এটিকে গ্যাস, অ্যালার্জি বা অ্যাসিডিটি ভেবে ভুল করে, অথচ এটি থাইরয়েড ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

ঘাড়ে বা গলায় একটানা ব্যথা: ঘাড়ে বা গলায় একটানা ব্যথা, যা সাধারণ ওষুধে ঠিক না হয়, তবে এটি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথা কানেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

অকারণে ওজন হ্রাস এবং ক্লান্তি: হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া এবং সব সময় শরীরে ক্লান্তি অনুভব করা ক্যান্সারের একটি সাধারণ লক্ষণ। থাইরয়েড ক্যান্সারের উন্নত পর্যায়ে পৌঁছালে এটি অনুভব করা যেতে পারে। এই পর্যায়ে মেটাবলিজম খারাপ হতে শুরু করে, যার ফলে দ্রুত ওজন কমে যায় এবং শরীরে একটানা ক্লান্তি বজায় থাকে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *