রাতে প্রকাশ পায় লিভার রোগের এই এক লক্ষণ, সিরোসিসের ঝুঁকিও বাড়ে

রাতে প্রকাশ পায় লিভার রোগের এই এক লক্ষণ, সিরোসিসের ঝুঁকিও বাড়ে

ঘুমের অভাবকে প্রায়শই মানুষ হালকাভাবে নেয়, কিন্তু এটি এমন একটি লক্ষণ যা ধীরে ধীরে শরীরকে গুরুতর রোগের দিকে ঠেলে দিতে পারে। বিশেষ করে যখন এটি অভ্যাসে পরিণত হয়, তখন এটি লিভারের (Liver) স্বাস্থ্যের উপর গভীর প্রভাব ফেলে।

ঘুমের অভাব এবং লিভার সিরোসিসের (Liver Cirrhosis) মধ্যে সম্পর্ক বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হচ্ছে।

লিভার ও ঘুমের সম্পর্ক
লিভার আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (Toxins) দূর করতে, হজমে (Digestion) সাহায্য করতে এবং অনেক প্রয়োজনীয় প্রোটিন (Protein) তৈরি করতে কাজ করে। যখন আমরা ক্রমাগত ঘুমাই না, তখন শরীরের জৈবিক ঘড়ি (biological clock) বা সার্কাডিয়ান রিদম (Circadian Rhythm) ব্যাহত হতে শুরু করে। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে লিভারের কার্যকারিতার উপর। ঘুমের অভাবে প্রদাহ (Inflammation) বাড়ে, যা লিভারের কোষগুলির (Cells) ক্ষতি করে।

রাতের ঘুমের গুরুত্ব
রাতের বেলায় শরীর নিজেকে সারিয়ে তোলে, এবং লিভার এই প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, তাহলে লিভার তার পরিষ্কার এবং মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত সময় পায় না। এর ফলে ধীরে ধীরে লিভার ফ্যাটি লিভার ডিজিজ (Fatty Liver Disease), হেপাটাইটিস (Hepatitis) এবং অবশেষে সিরোসিসের মতো অবস্থার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

ঘুমের অভাবের লক্ষণ
যদি আপনি ক্রমাগত রাতে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, এবং সারাদিন ক্লান্তি (Fatigue), বিরক্তি (Irritability), মনোযোগ দিতে সমস্যা (Trouble Focusing) অনুভব করেন, তাহলে এগুলি ইঙ্গিত হতে পারে যে আপনার ঘুম লিভারকে প্রভাবিত করছে।

এই বিপদ থেকে কিভাবে বাঁচবেন?
১. প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
২. ঘুমানোর আগে মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে দূরে থাকুন।
৩. রাতের খাবার হালকা এবং সময়মতো খান।
৪. মানসিক চাপ (Stress) কমানোর জন্য ধ্যান (Meditation) বা যোগাভ্যাস (Yoga) করুন।

লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি
ঘুমের অভাব শুধু ক্লান্তির কারণ নয়, বরং এটি ধীরে ধীরে লিভার সিরোসিসের মতো গুরুতর রোগের কারণ হতে পারে। সময়মতো ঘুমের অভ্যাস উন্নত করা লিভারের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য জরুরি। মনে রাখবেন, একটি ভালো ঘুমই একটি সুস্থ লিভারের প্রথম ধাপ।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *