এই ৩টি কাজ যারা করে তাদের অকাল মৃত্যু হয়! ভুলেও এই কাজগুলো করবেন না

এই ৩টি কাজ যারা করে তাদের অকাল মৃত্যু হয়! ভুলেও এই কাজগুলো করবেন না

মৃত্যু অনিবার্য, এটি কেউ এড়াতে পারে না। কার মৃত্যু কখন এবং কীভাবে হবে তা জানা আসাম্ভব, তবে গরুড় পুরাণ-এ বলা হয়েছে যে, ব্যক্তিকে তার কর্ম অনুসারে ফল ভোগ করতে হয়। মৃত্যুর পর সে স্বর্গ পাবে নাকি নরক, তা তার কর্মই নির্ধারণ করে।

কীভাবে অকাল মৃত্যু হয়?
অকাল মৃত্যু নিয়ে প্রতিটি মানুষের মনে ভয় থাকে। অকাল মৃত্যু মানে হলো সময়ের আগে ব্যক্তির মৃত্যু হওয়া। যদি কারো মৃত্যু ক্ষুধা, হিংস্র প্রাণী দ্বারা, ফাঁসিতে ঝুলে, বিষ পান করে, আগুনে পুড়ে, জলে ডুবে, সাপের কামড়ে, কোনো দুর্ঘটনার কারণে অথবা আত্মহত্যা করার ফলে হয়, তাহলে সে অকাল মৃত্যু প্রাপ্ত হয়। গরুড় পুরাণে বলা হয়েছে যে, কোন কাজগুলো করলে ব্যক্তিকে অকাল মৃত্যুর শাস্তি ভোগ করতে হয়, চলুন জেনে নেওয়া যাক।

কোন মানুষদের অকাল মৃত্যু হয়?
পরস্ত্রী-পরপুরুষের সাথে সম্পর্ক: গরুড় পুরাণ অনুসারে, বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী যদি কোনো পরপুরুষ বা পরস্ত্রীর সাথে সম্পর্ক রাখে, তাহলে তাকে অকাল মৃত্যু ভোগ করতে হয়।

এইসব স্থান অপবিত্র করা: গরুড় পুরাণ বলে যে, তীর্থস্থান, মন্দির বা পবিত্র নদীকে নোংরা করা। এই পবিত্র স্থানগুলোতে কুকর্ম যারা করে, তাদের আয়ু কমে যায় এবং তারা অকাল মৃত্যুর শিকার হয়।

এই কাজগুলো অকাল মৃত্যুর কারণ হয়: জীবনে করা অনেক বড় পাপের কারণে ব্যক্তির আয়ু কমে যায় এবং তারা অকাল মৃত্যু প্রাপ্ত হয়। যেমন – মা-বাবা, গুরু, সাধু-সন্ন্যাসীদের অপমান করা, বয়স্কদের কষ্ট দেওয়া, অন্যদের ধন, শরীর বা মন দিয়ে কষ্ট দেওয়া, ধর্মীয় নিয়ম উপেক্ষা করা ব্যক্তিরা দ্রুত মৃত্যুর কাছাকাছি চলে যায়।

অকাল মৃত্যুর পর কী হয়?
যেসব মানুষের মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হয়, তাদের আত্মা ৪০ দিনের মধ্যে অন্য শরীর লাভ করে, কিন্তু যারা অকাল মৃত্যু প্রাপ্ত হয়, তাদের আত্মা অনির্দিষ্টকাল ধরে भटकতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে শুধু সেই আত্মাকেই নয়, পরিবারের সদস্যদেরও এর দোষ ভোগ করতে হয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *