লেবু এবং সৈন্ধব লবণ একসাথে খেলে কী হয়? উপকারিতা জানলে আপনিও খাওয়া শুরু করবেন

বর্ষার মরসুম তার শীতল ফোয়ারা দিয়ে শরীর ও মনকে সতেজ করে তোলে, তবে এই মরসুম ডিহাইড্রেশন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাও নিয়ে আসে। যদিও বর্ষায় কম তৃষ্ণা লাগা একটি সাধারণ সমস্যা, যা সাধারণত উপেক্ষা করা হয়।
এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে লেবু এবং সৈন্ধব লবণ উপকারী। সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট পূজা মাখিजा জানান যে, বর্ষার মরসুমে তৃষ্ণা না লাগলে তার মানে এই নয় যে শরীরের জলের প্রয়োজন নেই।
তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেছেন, “আর্দ্রতা এবং ঠান্ডার কারণে ঘাম দ্রুত শুকায় না, যার ফলে মস্তিষ্ক তৃষ্ণার অনুভূতি কম পায়। তবুও, শরীর থেকে জল এবং প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ বের হতে থাকে, যার ফলে ক্লান্তি, আলস্য, অতিরিক্ত ক্ষুধা বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে।”
বর্ষায় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার গুরুত্ব
পূজা মাখিজা বলেন, “হাইড্রেটেড থাকার অর্থ শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করা নয়, বরং শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত জল এবং পুষ্টি সরবরাহ করা। বর্ষায় বৃষ্টি এবং আর্দ্রতার কারণে আমাদের মস্তিষ্ক ভুল সংকেত গ্রহণ করে এবং মনে করে যে শরীরের জলের প্রয়োজন নেই। কিন্তু, বাস্তবে শরীর থেকে জল এবং ইলেক্ট্রোলাইট ক্ষয় হতে থাকে, যা স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ঠাণ্ডা এবং আর্দ্র আবহাওয়া তৃষ্ণার সংকেতকে দমন করে, যার ফলে আমরা জল পান করতে ভুলে যাই।
লেবু এবং সৈন্ধব লবণ: একটি উপকারী মিশ্রণ
এই সমস্যাগুলি এড়াতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন যে, জলে লেবু এবং এক চিমটি সৈন্ধব লবণ মিশিয়ে পান করা উচিত। এই মিশ্রণ সাধারণ জলের চেয়ে শরীরকে আরও ভালোভাবে হাইড্রেট করে, কারণ লেবু ভিটামিন-সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সরবরাহ করে, যখন সৈন্ধব লবণ ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে। এটি শরীরে জলের শোষণ বাড়ায় এবং ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি তিনি পরামর্শ দেন যে, জলের বোতল সবসময় নিজের কাছে রাখুন, যাতে জল পানের কথা মনে থাকে।
এছাড়াও, পূজা এও বলেছেন যে, জল পানের অভ্যাসকে দৈনন্দিন কার্যকলাপের সাথে যুক্ত করা যেতে পারে, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া খোলার সময় দুই ঢোক জল পান করা। এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো বর্ষায় হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করতে পারে।