হিন্দু ধর্মশাস্ত্রে জীবনকে সঠিক পথে চালিত করার জন্য বহু নিয়ম-কানুনের কথা বলা হয়েছে। মনে করা হয়, এই নিয়মগুলো না মানলে ব্যক্তিকে আর্থিক ক্ষতি, মানসিক চাপ এবং পারিবারিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। যে ব্যক্তিরা এই ১৩টি কাজে ক্রমাগত জড়িত থাকেন, তাদের পতন হয়, সুখ-শান্তি কেড়ে নেওয়া হয় এবং তারা নিঃস্ব বা অভাবী হয়ে পড়তে পারেন।

আসুন জেনে নিই সেই ১৩টি কাজ, যা করা থেকে সবসময় বিরত থাকা উচিত, যাতে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকে।

ভুলেও করবেন না এই ১৩টি কাজ
১. অন্যের পোশাক বা জুতো পরা: অন্যের পোশাক এবং জুতো পরলে আপনার শক্তি প্রভাবিত হয় এবং নেতিবাচকতা আসে। এর ফলে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
২. দক্ষিণ দিকে মুখ করে খাওয়া বা ঘুমানো: দক্ষিণ দিকে মুখ করে খাওয়া বা পা করে ঘুমানো অশুভ বলে মনে করা হয়। এর ফলে আয়ু হ্রাস, আর্থিক ক্ষতি এবং স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩. মঙ্গলবার ও শনিবার চুল কাটা: এই দিনগুলোতে চুল বা নখ কাটা নিষিদ্ধ বলে মনে করা হয়। এটি নেতিবাচকতা বাড়ায় এবং কাজে বাধা সৃষ্টি করে।
৪. নখ কামড়ানো: এটি শুধুমাত্র একটি অভ্যাস নয়, আত্মবিশ্বাসের অভাব এবং মানসিক দুর্বলতারও ইঙ্গিত। এটি নেতিবাচক শক্তি বাড়ায়।
৫. খাবারের নিন্দা করা: মা অন্নপূর্ণার অপমান করলে ঘরে অন্নের অভাব হতে পারে। সর্বদা খাবারের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন।
৬. চুল কাটার পর স্নান না করে মন্দিরে যাওয়া: এভাবে মন্দিরে গেলে দেব-দেবী অসন্তুষ্ট হন। স্নান করে তবেই মন্দিরে যান।
৭. রাতে কাপড় ধোয়া এবং শুকানো: রাতে কাপড় ধোয়া এবং বাইরে মেলে রাখা নেতিবাচক শক্তিকে আমন্ত্রণ জানায়। এটি এড়িয়ে চলা ভালো।
৮. সন্ধ্যায় ঝাড়ু-মোছা করা: সন্ধ্যায় মা লক্ষ্মী পরিভ্রমণে বের হন। সেই সময় পরিষ্কার করলে ঘর থেকে লক্ষ্মী চলে যান বলে বিশ্বাস করা হয়।
৯. তুলসী গাছের কাছে অপবিত্র জিনিস রাখা: তুলসী একটি পবিত্র উদ্ভিদ। এর কাছে চপ্পল, ঝাড়ু বা ডাস্টবিন রাখবেন না, কারণ এতে দুর্ভাগ্য আসে।
১০. স্নান না করে চন্দনের তিলক লাগানো: চন্দন পবিত্র। শুদ্ধতা ছাড়া এর ব্যবহার শুভতা কমিয়ে দেয়।
১১. প্রসাদ না গ্রহণ করা: পূজা-পাঠের পর প্রসাদ না নেওয়া ঈশ্বরের অপমান। প্রসাদের অবমাননা অশুভ ফল দেয়।
১২. খারাপ সময়ে লোকদেখানো: ধর্ম বলে, কঠিন সময়ে সংযম এবং বিনয় বজায় রাখুন। লোকদেখানো দরিদ্রতা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
১৩. অপ্রয়োজনীয় ঝগড়ায় জড়ানো: নিয়মিত ঝগড়া করলে ঘরের শান্তি নষ্ট হয় এবং দেব-দেবী রুষ্ট হন।

হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, এই ১৩টি সাধারণ কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম মেনে চললে কেবল জীবনে সুখ-শান্তিই বজায় থাকে না, বরং মা লক্ষ্মীর কৃপাও অটুট থাকে। তাই এগুলোকে অবহেলা করবেন না, নইলে পরে অনুশোচনা করতে হতে পারে।