দইয়ের উপকারে সাবধান, কারা থাকবেন দূরে?

দই স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী, তবে গরমে অতিরিক্ত দই খাওয়ার আগে সতর্কতা জরুরি। দইয়ে থাকা ক্যালসিয়াম হাড় মজবুত করে, ভিটামিন সি, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং ফাস্টিং গ্লুকোজ কোলেস্টেরল ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হজমের সমস্যায়ও দই উপকারী। তবে, হাই কোলেস্টেরলের ক্ষেত্রে দইয়ের সঙ্গে দুই চিমটে বিট নুন মিশিয়ে খেলে আরও কার্যকর ফল পাওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত দই খাওয়া কিছু মানুষের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। অ্যাসিডিটি, বাত, হাঁজল বা ল্যাকটোজ অসহিষ্ণুতার সমস্যা থাকলে দই খাওয়া এড়ানো উচিত, বিশেষ করে রাতে। এই অবস্থাগুলিতে দই ব্যথা, ডায়রিয়া বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়াতে পারে।
যাদের অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য দই, বিশেষ করে রাতে, সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। বাতের রোগীদের ক্ষেত্রে দই জয়েন্টে ব্যথা বাড়াতে পারে। হাঁজল রোগীদের দিনের বেলা সীমিত পরিমাণে দই খাওয়া গেলেও রাতে এড়ানো উচিত। ল্যাকটোজ অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের দই খেলে পেটে ব্যথা বা ডায়রিয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, দইয়ের উপকারিতা থাকলেও, নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী দই খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে উপকার পাওয়া যায়, কিন্তু অতিরিক্ত বা ভুল সময়ে খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।