ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (USDA) এর রিপোর্ট অনুযায়ী, পেঁয়াজে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, পটাসিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ফ্লেভোনয়েডস, গ্লুটাথিওন, সেলেনিয়াম এর মতো পুষ্টি উপাদান পাওয়া যায়। এটি সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।

পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা
প্রদাহ কমায়: পেঁয়াজ খেলে শরীরে প্রদাহ কমে। এতে ভিটামিন সি এবং ফ্লেভোনয়েডসের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা শরীরকে ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। এই ফ্রি র‍্যাডিকেলগুলি শরীরে অনেক রোগের কারণ হয়।
ডায়াবেটিসে উপকারী: পেঁয়াজ রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পেঁয়াজে সালফার এবং কোয়ারসেটিনের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা রক্তে শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং কোলেস্টেরল কমাতে কার্যকর প্রমাণিত হয়। এটি রক্তচাপও কমায়।
অন্ত্রের জন্য উপকারী: প্রতিদিন পেঁয়াজ খাওয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী বলে মনে করা হয়। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। পেঁয়াজে প্রোবায়োটিকও পাওয়া যায়, যা অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়ায় এবং হজম প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করে।
সর্দি-কাশি দূর করে: প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে সর্দি, কাশি এবং গলার খুশখুশ কমে। পেঁয়াজে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল গুণ রয়েছে, যা শরীরকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।
হাড় এবং চুলের জন্য উপকারী: প্রতিদিন পেঁয়াজ খেলে হাড় মজবুত হয়। এর কারণ হল পেঁয়াজে থাকা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ফসফরাস। এই খনিজগুলো হাড়কে শক্তিশালী করে। পেঁয়াজের ভিটামিন সি এবং সিলিকা চুলের জন্য কার্যকর প্রমাণিত হয়। মুখে দাগ, বলিরেখা এবং ব্রণ কমাতেও পেঁয়াজ উপকারী।
পেঁয়াজ আপনার দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, তাই এটি নিয়মিত সেবন করা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।