শুধুমাত্র এই ৩ জনের হাতের খাবার খেলে আসে চরম দুর্ভাগ্য, আপনি কি অজান্তেই এই ভুল করছেন?

ভারতীয় সংস্কৃতিতে খাবারকে দেবতার মতো মনে করা হয়। এটি গ্রহণ করার আগে কেবল শারীরিক পরিচ্ছন্নতাই নয়, বরং খাবার পরিবেশনকারী ব্যক্তির মানসিকতা এবং শক্তিও গুরুত্বপূর্ণ।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে, যেমন ভাবনা, তেমন শক্তি এবং সেই শক্তি আপনার খাবারের মাধ্যমে আপনার শরীর ও মনে প্রবেশ করে।
জ্যোতিষশাস্ত্র (Astro Rules) এবং আয়ুর্বেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির হাতের খাবার খেলে আপনার জীবনে নেতিবাচকতা, অসুস্থতা এবং দুর্ভাগ্য বাড়তে পারে। আসুন জেনে নিই এমন ৩ জন ব্যক্তির সম্পর্কে যাদের তৈরি খাবার গ্রহণ করা উচিত নয়।
কার হাতের খাবার গ্রহণ করা অশুভ?
১. ক্রোধী এবং খিটখিটে স্বভাবের ব্যক্তির হাতের খাবার
যদি কোনো ব্যক্তি সবসময় রাগান্বিত থাকে, অন্যদের তুচ্ছ দৃষ্টিতে দেখে অথবা তার মন স্থির না থাকে, তাহলে এমন মানুষের হাতে তৈরি খাবার আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, রাগ এবং অস্থিরতার মতো নেতিবাচক শক্তি খাবারে মিশে যায়। যখন আপনি এমন খাবার খান, তখন সেই শক্তি আপনার শরীরে প্রবেশ করে, যার ফলে আপনার মন অস্থির, বিশৃঙ্খল এবং চাপগ্রস্ত হতে পারে।
২. রোগী বা মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির হাতের খাবার
যদি কোনো ব্যক্তির গুরুতর অসুস্থতা থাকে, বিশেষ করে মানসিক বা সংক্রামক, তবে তার তৈরি খাবার গ্রহণ করা জ্যোতিষশাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অশুভ বলে মনে করা হয়। শক্তি বিজ্ঞান অনুসারে, অসুস্থ ব্যক্তির ক্লান্তি এবং নেতিবাচকতা খাবারের মাধ্যমে স্থানান্তরিত হতে পারে। এটি কেবল আপনার স্বাস্থ্যের উপরই নয়, মানসিক ভারসাম্যের উপরও প্রভাব ফেলে।
দ্রষ্টব্য: সেবার ভাব আলাদা বিষয়, কিন্তু যদি আপনি দৈনন্দিন জীবনে কোনো অসুস্থ বা অত্যন্ত মানসিক চাপে থাকা ব্যক্তির হাতের খাবার পান, তবে তা থেকে দূরে থাকা ভালো।
৩. হিংসুক বা ছল-কপটকারী ব্যক্তির হাতের খাবার
যাদের মনে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ, ঈর্ষা, হিংসা বা কোনো প্রকার ছলনার ভাব থাকে, তাদের তৈরি খাবার গ্রহণ করা জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে আপনার ভাগ্য নষ্ট করতে পারে।
এমন মানুষের নেতিবাচক শক্তি খাবারে মিশে আপনার ভেতরে প্রবেশ করে। এর ফলে জীবনে ক্রমাগত বাধা, আর্থিক ক্ষতি এবং সম্পর্কে ফাটল দেখা যায়।
খাবারকে কেবল আহার মনে করবেন না
জ্যোতিষশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “যেমন অন্ন, তেমন মন।” এর অর্থ হলো আমাদের খাবার কেবল আমাদের শরীরকে নয়, আমাদের মনকেও প্রভাবিত করে। তাই খাবার তৈরির সময় এবং খাওয়ার আগে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি।