১ মাসে ৫ কেজি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিশিয়ানের দেওয়া এই অব্যর্থ টিপসগুলো কি আপনি জানতে চান?

১ মাসে ৫ কেজি ওজন কমানোর জন্য ডায়েটিশিয়ানের দেওয়া এই অব্যর্থ টিপসগুলো কি আপনি জানতে চান?

সঠিকভাবে ওজন কমানো সহজ কাজ নয়। অনেক সময় লোকেরা ওজন কমানোর জন্য খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেয়, যার ফলে ওজন কমে বটে, কিন্তু শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলের (Minerals) ঘাটতি দেখা দেয়। এই ধরনের ক্র্যাশ ডায়েটিং (Crash dieting) করে যে ওজন কমানো হয়, তা প্রায়শই স্বাভাবিক রুটিনে ফিরলেই আবার ফিরে আসে। তাই, ওজন সঠিক উপায়ে কমানো জরুরি, যাতে ওজনও কমে, শরীরে পুষ্টির অভাবও না হয় এবং স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। ওজন কমানোর জন্য আপনাকে খাওয়া-দাওয়া ছাড়তে হবে না, বরং অস্বাস্থ্যকর জিনিস থেকে দূরে থাকতে হবে এবং খাবারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে মনোযোগ দিতে হবে। ১ মাসে ৫-৬ কেজি পর্যন্ত ওজন কমানোর জন্য আপনি বিশেষজ্ঞদের দেওয়া এই টিপসগুলো চেষ্টা করতে পারেন। এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ান নন্দিনী (Nandini) তথ্য দিয়েছেন।

১৪ ঘণ্টার ফাস্টিং উইন্ডো (Fasting Window) রাখুন
রাতের ডিনার (Dinner) এবং পরের দিনের ব্রেকফাস্টের (Breakfast) মধ্যে আপনাকে কমপক্ষে ১২-১৪ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে হবে। যদিও, শুরুতে আপনি ৮ ঘণ্টার ব্যবধান রাখতে পারেন এবং তারপর ধীরে ধীরে এটি বাড়াতে পারেন। এতে শরীরকে নিজেকে ডিটক্স (Detox) করার সময় পাওয়া যায় এবং ওজনও সহজে কমে। এর ফলে মেটাবলিজমের (Metabolism) উন্নতি হয়, হরমোন (Hormone) সুষম থাকে এবং শরীর সঠিকভাবে কাজ করতে পারে। আপনি এই সময়ে জল, জোয়ানের জল বা দারুচিনি জল পান করতে পারেন।

সকালের নাস্তা বাদ দেবেন না
প্রায়শই লোকেরা সবচেয়ে বড় ভুল এটাই করে যে, ওজন কমানোর জন্য সকালের নাস্তা বাদ দেয় এবং তারপর ভাবে যে কেন ওজন কমছে না। আসলে ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ওজন কমার পরিবর্তে আরও বাড়তে পারে। স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট যেমন ওটস (Oats), সেদ্ধ ডিম, উপমা বা দই-চিঁড়ে অবশ্যই খান। এতে সারাদিন শরীরে শক্তি বজায় থাকে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবারের আকাঙ্ক্ষা হয় না।

হাই ফাইবার (High Fiber) এবং প্রোটিন (Protein) সমৃদ্ধ ডায়েট গ্রহণ করুন
ওজন কমানোর জন্য আপনাকে কার্বোহাইড্রেট (Carbs), রিফাইন্ড সুগার (Refined Sugar), তেল এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার (Processed Foods) কম পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও, ডায়েটে ফাইবার এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ জিনিস অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে ওজন কমানো, মেটাবলিজমের উন্নতি এবং সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

সারাদিন সঠিক পরিমাণে জল পান করুন
জল পান করা শুধুমাত্র শরীরকে হাইড্রেটেড (Hydrated) রাখে না, বরং ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণ করে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে, দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস জল অবশ্যই পান করুন। আপনি লেবু, শসা এবং পুদিনা দিয়ে তৈরি ডিটক্স ওয়াটারও পান করতে পারেন।

ওজন কমাতে বিশেষজ্ঞদের দেওয়া এই টিপসগুলি সাহায্য করতে পারে। আপনার যদি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে আর্টিকেলের উপরে দেওয়া কমেন্ট বক্সে (যদি থাকে) আমাদের জানান। আমরা আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনার সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *