চুলে যদি জায়গায় জায়গায় টাকের প্যাচ দেখা যায়, তাহলে চিন্তিত হবেন না, এভাবে আবার চুল গজাতে পারেন!

টাক পড়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত কারণ হলো অ্যান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেশিয়া, যা একটি জেনেটিক সমস্যা। নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই টাক পড়ার এটি একটি সাধারণ কারণ। এর পেছনে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং জেনেটিক ডিসঅর্ডার দায়ী। আয়রন, প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং বায়োটিনের মতো পুষ্টি উপাদানের অভাবেও চুল ঝরতে পারে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ নিলেও চুলের বৃদ্ধিতে প্রভাব পড়ে। এছাড়াও, রাসায়নিকযুক্ত শ্যাম্পু, রঙ এবং স্টাইলিং পণ্য স্ক্যাল্পের ক্ষতি করতে পারে।
নারকেল তেল ব্যবহার
যদি আপনি টাক পড়ার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। নারকেল তেলে লরিক অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা স্ক্যাল্পকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলের গোড়াকে মজবুত করে। প্রতিদিন স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হয়, যার ফলে চুলের ফলিকলগুলো সক্রিয় হয়।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরায় এনজাইম এবং ভিটামিন থাকে, যা স্ক্যাল্পের পিএইচ (pH) স্তরকে ভারসাম্যপূর্ণ রাখে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা খুশকি এবং স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমাতেও কার্যকর।
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমাণে সালফার থাকে, যা কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং চুলের ফলিকলকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। একটি ক্লিনিকাল স্টাডিতে দেখা গেছে যে পেঁয়াজের রস টাক পড়ার চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
রোজমেরি তেল
রোজমেরি তেলে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ থাকে, যা চুলের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে রোজমেরি তেল মিনোক্সিডিলের মতো, অর্থাৎ একটি সাধারণ চুল গজানোর ওষুধের মতোই কার্যকর হতে পারে।
মেথির বীজ
মেথির বীজে প্রোটিন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড থাকে, যা চুলের ফলিকলকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে মজবুত করে।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেনল থাকে, যা চুল পড়া কমাতে এবং স্ক্যাল্পকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ডিম
ডিমে প্রোটিন, সালফার এবং বায়োটিন থাকে, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি স্ক্যাল্পকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে ঝলমলে করে তোলে।