মৃত্যুর পর আত্মা তেরো দিন পর্যন্ত এই পৃথিবীতে তার শারীরিক বাসস্থানে অবস্থান করে। এই সময়ে মৃত ব্যক্তির আত্মাকে তৃপ্ত করার জন্য তার তর্পণ করা হয়। এর ফলে মৃত ব্যক্তির আত্মা শক্তি পায় যাতে সে যমলোকের যাত্রা করতে পারে। শেষ দিনে পিন্ডদান করা হয়। ততক্ষণ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির আত্মা মোহ ত্যাগ করে যমলোকের দিকে অগ্রসর হয়। সনাতন ধর্ম অনুসারে, মৃত ব্যক্তির সাথে সম্পর্কিত জিনিসপত্র দান করে দেওয়া উচিত। যদিও, দামী জিনিসপত্র মানুষ বাড়িতে রেখে দেয় এবং অজান্তেই এই জিনিসগুলো ব্যবহার করতে শুরু করে। শাস্ত্র অনুসারে, মৃত ব্যক্তির জিনিসপত্র কখনও ভুলেও ব্যবহার করা উচিত নয়। এমনটা করা খুবই অশুভ। জীবন সমস্যায় ভরে যেতে পারে। আসুন এই প্রসঙ্গে জেনে নিই যে মৃত ব্যক্তির কোন জিনিসগুলো কখনও ব্যবহার করা উচিত নয়।

এই জিনিসগুলো ব্যবহার করবেন না
মৃত ব্যক্তির ঘড়ি: গরুড় পুরাণ অনুসারে মৃত ব্যক্তির ঘড়ি ব্যবহার করা উচিত নয়। জীবাত্মা এর প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, যে ব্যক্তি মৃত ব্যক্তির ঘড়ি ব্যবহার করে, তাকে মৃত ব্যক্তির স্বপ্ন আসতে শুরু করে। মৃত ব্যক্তির ঘড়ি ব্যবহার করা খারাপ সময়ের শুরু হতে পারে। ঘড়ি ব্যবহারের ফলে পিতৃ দোষ লাগারও ভয় থাকে। এমন ঘড়ি বাড়িতে থাকলে তা প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন বা মাটিতে পুঁতে দিন।

মৃত ব্যক্তির গহনা: মৃত ব্যক্তির গহনা ব্যবহার করা উচিত নয়। মনে করা হয় যে এই ধরনের গহনাতে নেতিবাচক শক্তি চলে আসে। মৃত ব্যক্তির গহনা পরলে পিতৃ দোষ লাগে। বলা যায়, মৃত ব্যক্তির আত্মা এই ধরনের গহনার প্রতি আকৃষ্ট হয়। মৃত ব্যক্তি জীবিত থাকাকালীন উপহার হিসেবে কোনো গহনা দিয়ে থাকলে তা পরা যেতে পারে।

মৃত ব্যক্তির পোশাক: মৃত ব্যক্তির নিজের পরা পোশাকের প্রতি বেশি মায়া থাকে, তাই তাদের শরীরের ছাড়া পোশাকগুলো দান করে দিন বা পুড়িয়ে দিন। কারণ নিজের থেকে মৃত ব্যক্তির আত্মা মোহে আবদ্ধ থাকে এবং তাদের পোশাক ব্যবহারকারী লোকেদের জন্য নেতিবাচক শক্তি সঞ্চার করতে পারে। মৃত ব্যক্তির পোশাক অভাবীদের দান করলে আত্মা মোক্ষ লাভ করতে পারে।