কোমর ব্যথার কারণ ও ৭ দিনে তা সারানোর সহজ ঘরোয়া উপায়

কোমর ব্যথার কারণ ও ৭ দিনে তা সারানোর সহজ ঘরোয়া উপায়

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে নানা রোগ বাসা বাঁধে, তার মধ্যে অন্যতম হল কোমর ব্যথা। যদিও কোমর ব্যথা যে কারও হতে পারে। আধুনিক জীবনযাত্রার কারণে আজকাল অল্পবয়সীরাও এই সমস্যায় ভোগেন।

তবে সাধারণত বেশি বয়স্ক এবং মহিলাদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এই সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয় এবং এর থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়া কঠিন। কিন্তু এখন আপনাকে আর চিন্তা করতে হবে না, কারণ আজ আমরা এর সঠিক সমাধান বলতে যাচ্ছি, যা ব্যবহার করে আপনি কোমর ব্যথা শুধু নিয়ন্ত্রণই নয়, চিরতরে মুক্তিও পেতে পারেন।

কোমর ব্যথার ৫টি প্রধান কারণ

শরীরের ওজন বৃদ্ধি: আপনার শরীরের ওজন বেড়ে গেলে কোমর ব্যথা হতে পারে, কারণ আপনার শরীরের ওজন বাড়লে তার অর্ধেকের বেশি ভার কোমরের উপর পড়ে।

ভারী জিনিস তোলা: ভারী জিনিস তুললেও এই সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার যতটা ওজন তোলার ক্ষমতা আছে, ততটাই তুলুন।

ভুলভাবে ঘুমানো: ঘুমানোর সময় যদি আপনি এমন অবস্থানে থাকেন যা আপনার শরীরের উল্টো দিকে, তাহলে এই ভুল পদ্ধতি আপনাকে কোমর ব্যথার সমস্যায় ফেলতে পারে।

ভুলভাবে ওঠা, বসা এবং ঝোঁকা: দৈনন্দিন জীবনে আপনি কীভাবে কাজ করেন, কীভাবে ওঠেন, বসেন বা ঝোঁকেন, এই তিন কাজের ক্ষেত্রে অসাবধানতা আপনার কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে।

পেশিতে টান: কখনও কখনও আপনি এমন কাজ করেন যা সাধারণত আপনি সবসময় করেন না। অনেক সময় এমন হয় যে আপনি কোনো কাজ খুব দ্রুত করেন এবং এমন করার সময় কখনও কখনও আমাদের পেশিতে টান পড়ে। পেশিতে এই টানই আমাদের কোমর ব্যথার কারণ হয়।

কোমর ব্যথার ৫টি ঘরোয়া প্রতিকার

সর্ষের তেল ও রসুন: যদি আপনার সবসময় কোমর ব্যথার অভিযোগ থাকে, তাহলে সর্ষের তেল ও রসুন আপনাকে এটি থেকে মুক্তি দেওয়ার এক অসাধারণ উপায়। এর জন্য তিন থেকে পাঁচ চামচ সর্ষের তেল এবং পাঁচ কোয়া রসুন একসঙ্গে গরম করুন। এটি ততক্ষণ গরম করতে থাকুন যতক্ষণ না রসুনের কোয়া কালো হয়ে যায়। এবার এটিকে ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে এটি ব্যবহার করুন। এমন করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই আপনার কোমর ব্যথা পুরোপুরি সেরে যাবে।

গরম জলের সেঁক: আপনার কোমরে তীব্র ব্যথা হলে গরম জল দিয়ে সেঁক দেওয়া উচিত। এতে আপনি এই সমস্যা থেকে আরাম পাবেন।

জোয়ান: জোয়ান আপনার জন্য খুব কার্যকরী ঔষধ। যদি আপনার কোমর ব্যথা না কমে, তাহলে আপনার জোয়ান খাওয়া উচিত। প্রথমে অর্ধেক চামচ জোয়ান তাওয়ার উপর হালকা গরম করে নিন, পরে ঠান্ডা হলে এটি সেবন করুন। এটি ধীরে ধীরে চিবিয়ে খেয়ে নিন এবং উপর থেকে হালকা গরম এক গ্লাস জল পান করুন। এই পদ্ধতি টানা সাত দিন ব্যবহার করলে কোমর ব্যথায় শতভাগ উপকার পাওয়া যায়।

গরম নুনের সেঁক: গরম নুনের সেঁকও কোমর ব্যথার জন্য অত্যন্ত উপকারী। এর জন্য নুন গরম করে একটি কাপড় বা তোয়ালেতে মুড়ে কোমরে সেঁক দিন। এতে আপনি ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

গরম এবং ঠান্ডা: যদি আপনার কোমর ব্যথার সমস্যা না কমে, তাহলে আপনার গরম এবং ঠান্ডার মিশ্রণ ব্যবহার করা উচিত। এর জন্য প্রথমে ব্যথার জায়গায় গরম জল দিয়ে সেঁক দিন এবং পরে এই জায়গায় বরফ লাগান।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *