পাঁচটি খারাপ অভ্যাস যা ধীরে ধীরে আপনার কিডনি নষ্ট করে; আজই বন্ধ না করলে বিপদ বাড়বে

কিডনি আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ, যা রক্ত থেকে বর্জ্য এবং বিষাক্ত পদার্থ অপসারণ করে শরীরকে সুস্থ রাখে। যদিও এই অঙ্গটি আমাদের শরীরের ভিতরে থাকে, তবে এর সঠিক যত্ন না নিলে আমরা অনেক সমস্যা ডেকে আনি।
অনেক সময় আমরা অজান্তেই এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক প্রমাণিত হয়। আমাদের কিছু অভ্যাস কিডনিকে নষ্ট করে। আজ আমরা আপনাকে আপনার দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে বলছি যা সময় মতো বন্ধ না করলে আপনার সমস্যা বাড়তে পারে। এগুলো কিডনির মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে, তাই সময় মতো এই অভ্যাসগুলো বন্ধ করে আপনি আপনার কিডনির স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই খারাপ অভ্যাসগুলো কী কী।
মূত্রনালীর সংক্রমণে ভুগছেন? উপশমের জন্য এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলো ব্যবহার করে দেখুন, জ্বালাপোড়া ও ব্যথা কমে যাবে
কম জল পান করা
আমাদের শরীরের ৭৮% জলের প্রয়োজন হয়, তাই আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যতটা সম্ভব জল পান করা উচিত। পর্যাপ্ত জল পান না করা কিডনির জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক অভ্যাসগুলির মধ্যে একটি। জলের অভাবে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়, যার ফলে কিডনি স্টোন বা কিডনি ইনফেকশন হতে পারে। দীর্ঘক্ষণ ডিহাইড্রেশনের কারণে কিডনির কার্যকারিতা দুর্বল হতে পারে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ২-৩ লিটার জল পান করা প্রয়োজন।
বেশি ব্যথানাশক ঔষধ গ্রহণ
চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস (NSAIDs) এর ক্রমাগত ব্যবহার কিডনির ক্ষতি করতে পারে। ব্যথা, প্রদাহ বা জ্বর কমাতে এগুলো প্রায়শই ব্যবহৃত হয়, তবে এই ওষুধগুলো কিডনিতে রক্ত প্রবাহ কমাতে পারে, যা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ধূমপান এবং মদ্যপান
আমরা সবাই জানি যে ধূমপান এবং মদ্যপান আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা বিপজ্জনক। এগুলো কিডনির কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে। ধূমপান কিডনি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়, অন্যদিকে মদ্যপান ডিহাইড্রেশন ঘটায় এবং কিডনির উপর চাপ সৃষ্টি করে।
উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিস
উচ্চ রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস কিডনির বড় শত্রু। এই রোগগুলোর সময় মতো চিকিৎসা না করা হলে কিডনির রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এটি কিডনি ফেইলিওরের ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত পরীক্ষা এবং সময় মতো প্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ করে আপনি এই রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
মুখের ব্রণ চিরতরে অদৃশ্য হয়ে যাবে! এক বাটি বেসন ব্যবহার করে বাড়িতেই কেমিক্যাল-মুক্ত প্রাকৃতিক সাবান তৈরি করুন
বেশি লবণ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ
বেশি লবণ এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ আমাদের কিডনির ক্ষতি করে। এটি রক্তচাপ বাড়ায়, যার ফলে কিডনিকে বেশি কাজ করতে হয়। প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা রাসায়নিকও কিডনির জন্য ক্ষতিকারক।
প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
কিডনি খারাপ হলে কী ধরনের সমস্যা হয়?
ঘন ঘন প্রস্রাব, শ্বাস নিতে কষ্ট, ক্ষুধা কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব ও বমি, মাংসপেশিতে তীব্র ব্যথা।
কিডনি স্টোনের লক্ষণ কী কী?
持续 বমি বমি ভাব এবং বমি হওয়া কিডনি স্টোনের সাধারণ লক্ষণ।
কিডনি ভালো আছে কিনা বুঝবেন কীভাবে?
আপনার কিডনি ভালো কাজ করছে তার লক্ষণ – আপনার স্বাভাবিক প্রস্রাব হয়। আপনার প্রস্রাবের রঙ হালকা হলুদ। আপনার শরীরে জল জমার কারণে ফোলা বা ফাঁপা লাগছে না।
দ্রষ্টব্য – এই নিবন্ধটি শুধুমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য লেখা হয়েছে এবং এতে কোনো ধরনের চিকিৎসার দাবি করা হয়নি। কোনো প্রতিকার করার আগে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।