হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচতে চান? এই ৬টি ঘরোয়া উপায় আপনার জীবন রক্ষা করবে!

কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড নীরব ঘাতকের মতো কাজ করে, যা শেষ পর্যন্ত হার্ট অ্যাটাকের কারণ হতে পারে। এই মারাত্মক সমস্যা থেকে বাঁচতে এবং আপনার লিভারকে সুস্থ রাখতে ৬টি সহজ ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এগুলো নিয়মিত অনুসরণ করলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।
উচ্চ কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাকের সবচেয়ে বড় কারণ, যা সাধারণত রক্তনালীতে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইড জমে ব্লকেজ সৃষ্টি করে। ডায়েটিশিয়ান রমিতা কৌর জানিয়েছেন যে লিভারের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়া এবং ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের কারণে কোলেস্টেরল বাড়ে। তিনি কোলেস্টেরল কমানোর জন্য কার্যকর ৬টি ঘরোয়া উপায়ও বাতলে দিয়েছেন, যা আপনার রক্তনালীকে পরিষ্কার রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
কোলেস্টেরল কমানোর ৬টি সহজ উপায়
১. ভিজিয়ে রাখা বাদাম ও আখরোট
দিনের শুরুটা ড্রাই ফ্রুটস দিয়ে করুন। সকালে খালি পেটে ভেজানো বাদাম ও আখরোট খান। এগুলি হার্টের জন্য উপকারী ফ্যাট সমৃদ্ধ। রাতে ঘুমানোর আগে ২-৩টি বাদাম ও ২টি আখরোট জলে ভিজিয়ে রাখুন।
২. তিসির বীজ
ফ্যাট জাতীয় খাবার থেকে কোলেস্টেরল বাড়ে, এটি রোধ করতে দুপুরের খাবারের পর এক চামচ তিসির বীজ খান। এটি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
৩. ফাইবার বাড়ান
কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখার জন্য ফাইবার অপরিহার্য। এর জন্য প্রতিদিনের খাবারে তাজা সবজি, ফল ও শস্যের পরিমাণ বাড়ান। এগুলো থেকে ফাইবার পাওয়া যাবে, যা কোলেস্টেরলকে রক্তে মিশতে বাধা দেয়।
৪. গ্রিন টি
খাবার পর এক কাপ গ্রিন টি পান করুন। এটি মেটাবলিজম বাড়াতে এবং ফ্যাট ভাঙতে সাহায্য করবে। এটি আপনার হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক রাখবে এবং ওজন বাড়াতে দেবে না।
৫. অর্জুন ছালের গুঁড়ো
ডায়েটিশিয়ান হার্ট অ্যাটাক থেকে রক্ষা পেতে দুটি সেরা মশলার কথা বলেছেন। এর মধ্যে প্রথমটি হলো অর্জুন ছালের গুঁড়ো, যা হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং কোলেস্টেরল কমায়।
৬. দারচিনি
দারচিনি খাওয়াও শুরু করুন। এটি ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকেও রক্ষা করতে পারে।