নতুন মায়েদের সুস্থ থাকার উপায়, ওজন নিয়ন্ত্রণ ও মানসিক চাপ কমানোর কৌশল

নতুন মায়েদের জন্য মাতৃত্ব এক আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে, তবে এর সঙ্গে আসে কিছু শারীরিক ও মানসিক চ্যালেঞ্জ। প্রসবের পর দুর্বলতা, ওজন বৃদ্ধি, এবং পোস্টপার্টাম স্ট্রেস বা প্রসব-পরবর্তী বিষণ্ণতা নতুন মায়েদের জন্য একটি বড় সমস্যা। এই সময়ে হরমোনের পরিবর্তন, বিরক্তি, উদ্বেগ, এবং শিশুর প্রতি আকর্ষণ কমে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পুষ্টিবিদ ডা. গীতিকা চোপড়া, যার ২৪ বছরের অভিজ্ঞতা আছে, নতুন মায়েদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জোর দিয়েছেন যে, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং সঠিক দৈনন্দিন রুটিন মেনে চলা নতুন মায়েদের জন্য অত্যন্ত জরুরি। অন্যথায়, দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা যেমন ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক দুর্বলতা হতে পারে।
ডা. চোপড়া মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হালকা হাঁটাচলা এবং প্রাণায়ামের মতো শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের পরামর্শ দেন। তিনি যোগ করেন যে, কোনো মানসিক চাপ থাকলে তা নিয়ে কথা বলা উচিত এবং প্রয়োজনে থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিতে দ্বিধা করা উচিত নয়। পর্যাপ্ত ঘুম নতুন মায়েদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর ঘুমের সাথে তাল মিলিয়ে ‘স্লিপ স্ন্য্যাচিং’ বা অল্প সময়ের জন্য বিশ্রাম নেওয়া কার্যকর হতে পারে। এছাড়াও, ডা. চোপড়া ব্রেস্টফিডিংয়ের উপর জোর দিয়েছেন, কারণ এটি মা ও শিশু উভয়ের জন্যই উপকারী। প্রসবের পর সুস্থ হওয়ার জন্য তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে শারীরিক কার্যকলাপে ফেরা উচিত। স্বাভাবিক প্রসবের পর ৬ সপ্তাহ এবং সি-সেকশনের পর ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হালকা ব্যায়াম শুরু করা যেতে পারে। খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রে, ডা. চোপড়া পুষ্টিকর খাবার যেমন আয়রন ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য, শুকনো ফল, বাদাম এবং সবুজ শাকসবজি খাওয়ার পরামর্শ দেন, যা নতুন মায়েদের দুর্বলতা কমাতে সাহায্য করবে। চিনিযুক্ত পানীয় এবং অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা অত্যন্ত জরুরি।