এই ৭টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনিতে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে! দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান!

এই ৭টি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনিতে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে! দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান!

যখন কিডনিতে কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে শুরু করে, তখন কিডনি ক্যান্সারের শুরু হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই সমস্যা একটি কিডনিতে দেখা যায়, তবে কিছু বিরল ক্ষেত্রে উভয় কিডনিতেও এই বিপজ্জনক রোগ হতে পারে। আমরা আপনাকে সেই ৭টি লক্ষণ সম্পর্কে জানাব, যা দেখে বোঝা যায় কিডনিতে ক্যান্সারের আগমন ঘটেছে এবং এমন রোগীদের অবিলম্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিডনি ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
কিডনি ক্যান্সারের প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো বিশেষ লক্ষণ দেখা যায় না। তবে, অনেক সময় অন্যান্য স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমন সিটি স্ক্যান বা আল্ট্রাসাউন্ডের মাধ্যমে এই রোগ ধরা পড়ে। তবে, কিডনিতে টিউমার বাড়ার সাথে সাথে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে। আমরা আপনাকে এমন ৭টি লক্ষণ সম্পর্কে বলছি।

প্রস্রাবে রক্ত (হিমাচুরিয়া)
প্রস্রাবে রক্ত আসা কিডনি ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ এবং প্রাথমিক লক্ষণ। এই রক্তের কারণে প্রস্রাবের রঙ লাল, গোলাপি বা বাদামী হতে পারে। তবে, কখনও কখনও রক্তের পরিমাণ এতটাই কম থাকে যে তা খালি চোখে দেখা যায় না। কিডনি ক্যান্সারের ৫০-৬০ শতাংশ রোগীর মধ্যে এই লক্ষণ দেখা যায়। এই লক্ষণ মূত্রনালীর সংক্রমণ বা কিডনিতে পাথরের কারণেও হতে পারে, তবে এটিকে উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে।

পাঁজর এবং কোমরের মাঝখানে ব্যথা
কিডনি ক্যান্সারের রোগীদের প্রায়শই পাঁজর এবং কোমরের মাঝখানে (ফ্ল্যাঙ্ক) বা পিঠের নিচের অংশে ক্রমাগত ব্যথা অনুভব হয়। এই ব্যথা আঘাত বা পেশীর সমস্যা থেকে আলাদা হয় এবং কোনো বিশেষ কারণ ছাড়াই সব সময় থাকে। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে এই লক্ষণ টিউমার বৃদ্ধি এবং কিডনির উপর চাপ বাড়ার কারণে হয়।

পেট বা পিঠে ফোলা বা পিণ্ড
কখনও কখনও কিডনিতে টিউমার এতটাই বড় হয়ে যায় যে এটি পেট বা পিঠে একটি পিণ্ড বা ফোলা হিসাবে অনুভব হতে পারে। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিউমার এতটাই ছোট থাকে যে তা ছুঁয়ে অনুভব করা যায় না। যদি আপনার পেট বা পিঠে কোনো অস্বাভাবিক পিণ্ড অনুভব হয়, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

অজ্ঞাত কারণে ওজন হ্রাস
কোনো কারণ ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া কিডনি ক্যান্সারের একটি প্রধান লক্ষণ হতে পারে। আসলে, ক্যান্সার কোষ শরীরের বিপাকক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে ক্ষুধা কমে যায় এবং ওজন কমতে শুরু করে। আপনার বয়স যদি ৪০ বছরের বেশি হয় তবে এই লক্ষণটিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।

ক্রমাগত ক্লান্তি
ক্রমাগত ক্লান্তি বা দুর্বলতা অনুভব করাও কিডনি ক্যান্সারের একটি অস্পষ্ট, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এই ক্লান্তি সাধারণ ক্লান্তি থেকে আলাদা হয়, কারণ এটি বিশ্রাম নেওয়ার পরেও বজায় থাকে। জেনে রাখুন, ক্যান্সারের কারণে শরীরে প্রদাহ বাড়ে এবং শক্তির অভাব অনুভব হয়।

জ্বর বা রাতে ঘাম
কোনো কারণ ছাড়াই বারবার হালকা জ্বর বা রাতে বেশি ঘাম হওয়া কিডনি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এই লক্ষণগুলি ক্যান্সার কোষ থেকে নিঃসৃত রাসায়নিকের কারণে দেখা যায়। এগুলি শরীরের তাপমাত্রা প্রভাবিত করে।

উচ্চ রক্তচাপ বা অ্যানিমিয়া
কিডনি ক্যান্সারের কারণে কিডনি দ্বারা তৈরি হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে, যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ বা অ্যানিমিয়া হতে পারে। কিডনি ক্যান্সারের রোগীদের মধ্যে এই লক্ষণগুলি সাধারণ এবং এগুলোকে উপেক্ষা করা উচিত নয়।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *