প্রস্রাবে কি তৈরি হচ্ছে ফেনা? খুব সাবধান কী দশা হয়েছে কিডনির? জেনে নিন

কিডনির সমস্যাকে প্রায়শই ‘নীরব ঘাতক’ বলা হয়, কারণ এর লক্ষণগুলো প্রায়শই গুরুতর ক্ষতি না হওয়া পর্যন্ত প্রকাশ পায় না। প্রস্রাবের রঙে পরিবর্তন, ফেনা বা রক্ত আসা, অতিরিক্ত প্রস্রাব হওয়া অথবা জ্বালাপোড়ার মতো লক্ষণগুলো ছোট মনে হলেও উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীরের দুটি রেচন পদার্থ—মল এবং মূত্র—ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলে দেহের অভ্যন্তরীণ অনেক তথ্য বোঝা যায়। ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের মতো রোগও শরীরে দানা বাঁধার আগে বিভিন্ন সংকেত দিয়ে থাকে।
গোয়ার মণিপাল হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অ্যাসোসিয়েট কনসালটেন্ট ডক্টর রাকেশ রোশন জানান, মূত্র শুধু বর্জ্য নয়, এটি একটি ডায়াগনস্টিক উইন্ডো। যদি কারও প্রস্রাবে প্রোটিন বা রক্ত থাকে, তবে তা কিডনির কার্যক্ষমতা হ্রাসের প্রাথমিক সংকেত হতে পারে, এমনকি শরীরে অন্য কোনো লক্ষণ না থাকলেও। ফেনাযুক্ত, রক্তাক্ত বা গাঢ় রঙের মূত্রও কিডনির সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। কিডনি শরীর থেকে বর্জ্য ছেঁকে ফেলে এবং তরল ও ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। যদি কিডনি চাপের মধ্যে থাকে, তবে এই ভারসাম্যহীনতা প্রস্রাবের রঙ, স্বচ্ছতা, স্থিতিশীলতা বা গন্ধে প্রকাশ পেতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লে কিডনির রক্ত পরিস্রুত করার ক্ষমতা কমে যায়, যা ফেনাযুক্ত প্রস্রাবের কারণ হতে পারে।