কেন প্রথম রুটি গরুকে এবং শেষ রুটি কুকুরকে খাওয়ানো হয়? জেনে নিন আসল কারণ

হিন্দুধর্মে, প্রথম রুটি গরুকে এবং শেষ রুটি কুকুরকে খাওয়ানোর ঐতিহ্য রয়েছে। এই ঐতিহ্য ধর্মীয় এবং জ্যোতিষশাস্ত্র উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই জড়িত। দেব-দেবী গরুর মধ্যে বাস করেন, অন্যদিকে কুকুরকে কালভৈরবের বাহন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, গরুকে প্রথম রুটি খাওয়ালে দেব-দেবীদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। কুকুরকে শনি ও কেতুর প্রতীকও মনে করা হয়, তাই কুকুরকে শেষ রুটি খাওয়ালে রাহু-কেতু এবং শনির দোষ দূর হয়।
হিন্দুধর্মে, গরুকে ‘গো মাতা’ বলা হয় এবং এতে ৩৩ কোটি দেব-দেবী বাস করেন। গরুকে প্রথম রুটি খাওয়ালে সমস্ত দেব-দেবীর উদ্দেশ্যে অন্ন উৎসর্গ করার মতোই ফল পাওয়া যায় এবং তাদের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
জ্যোতিষশাস্ত্রে বিশ্বাস করা হয় যে কুকুরকে শেষ রুটি খাওয়ালে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে, নেতিবাচকতা দূর হয় এবং সম্পদ বৃদ্ধি পায়। একই সাথে, কিছু লোক এটাও বিশ্বাস করে যে কুকুরকে শেষ রুটি খাওয়ালে পিতৃ দোষও দূর হয়।
কথিত আছে যে গরুকে প্রথম রুটি খাওয়ালে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে এবং সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। একই সাথে, কুকুরকে শেষ রুটি খাওয়ানো রাহু-কেতু এবং শনির দোষ শান্ত করার একটি নিশ্চিত উপায়।
গরুকে প্রথম রুটি এবং কুকুরকে শেষ রুটি খাওয়ালে ঘরে ধন-সম্পদ ও শস্যের অভাব হয় না। গরুকে প্রথম রুটি খাওয়ালে জীবনের বাধা-বিপত্তি এবং ঝামেলা দূর হয়। একই সাথে, কুকুরকে শেষ রুটি খাওয়ালে পিতৃ দোষ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়।